Barak UpdatesCultureFeature Story
মাসিক থিয়েটার ফেস্ট: করোনা আবহে নতুন ভাবনা ভাবীকালের
১২ আগস্ট: করোনা ভাইরাস অতিমারীর কারণে প্রতিটি মানুষের জীবন ও যাপন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে । এই অনাকাঙ্খিত স্তব্ধতার মধ্যেও যারা সৃষ্টিশীল তাঁরা নিস্তব্ধতার সুরে প্রতিনিয়ত উৎসাহ ব্যঞ্জনার যোগান দিয়ে যাচ্ছেন, চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের সাংস্কৃতিক চর্চা । এরকমই নতুন ভাবনায় এই উপত্যকায় এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করার প্রয়াস হাতে নিল শিলচরের ব্যতিক্রমী নাট্য সংস্থা ভাবীকাল। যদিও ভাবীকাল এই কাজটা শুরু করেছিল লকডাউন শুরু হওয়ার ঠিক প্রাকমুহূর্তে।
ভাবীকালের এই নতুন ভাবনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ভাবীকালের মুখপাত্র, নাট্যকর্মী সুব্রত রায় জানান, সৃষ্টিশীল রচনা আদি অনন্ত কাল থেকে মানব সভ্যতার বিকাশ ও ব্যক্তির বহিঃপ্রকাশের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত এবং সেটা নাট্য চর্চার ক্ষেত্রেই হোক বা অন্য যে কোনো শিল্প চর্চার ক্ষেত্রেই হোক, ইতিহাসের যে কোনো কালে যে কোনো মহামারী বা অতিমারীর মতো কোনো অপশক্তি মানুষের উন্নত সৃষ্টিশীল চিন্তাচর্চাকে প্রতিহত করতে পারেনি ।
আজ যেখানে মঞ্চে নাটক করা সম্ভব হচ্ছে না, ভাবীকাল সেখানে বিজ্ঞান প্রযুক্তির আশীর্বাদে সামাজিক মাধ্যমে নিজস্ব ফেসবুক পেজে ‘মাসিক থিয়েটার ফেস্ট’ নামে প্রতি মাসে দুটি করে অনু নাটক সরাসরি সম্প্রচার করবে। উদেশ্য নাটক ও নাট্যচর্চার প্রচার ও প্রসার। তিনি আরো উল্লেখ করেন, গত ২২ শ্রাবণ কবিগুরুর প্রয়াণ দিবসে ‘অচলায়তন’ নাটকের এক অংশ বিশেষ ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে এই মহাযজ্ঞের সূচনা হয় । ভাবীকালের এই ‘মাসিক থিয়েটার ফেস্ট’-এ বরাক উপত্যকা এবং উপত্যকার বাইরে থেকেও বিভিন্ন নাট্যগোষ্ঠী তাদের নাটক উপস্থাপন করবে । সুব্রতবাবুর কথায়, এই মাধ্যমে নতুন ধারায় নাটক উপস্থাপন করা নাট্যপ্রেমী দর্শকদের কাছে কতটুকু গ্রহণীয় সেই সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায় ভাবীকাল । এই পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে ভাবীকালের ফেসবুকের পাতায় চোখ রাখতে অনুরোধ রেখেছেন সংস্থার সদস্য-কর্মকর্তারা।