Barak UpdatesCultureBreaking News

মহালয়ার ভোরে উৎসবের আনন্দে জাগল শহর শিলচর !
It’s Mahalaya: Waking up to the tune of Mahisashura Mardini, people crowd the streets

৬ অক্টোবর : করোনা কালের মধ্যেই দ্বিতীয় মহালয়া। মনে হাজার চিন্তা। কিন্তু তারপরও দীর্ঘদিন ঘরে থেকে থেকে বোর হওয়া মানুষ উৎসবের আনন্দে মশগুল। আর তাই মহালয়ার সকাল বেলুন, শোভাযাত্রা, নাচগান, সেলফি আর অসংখ্য মানুষের ভিড়ে সত্যিই জমে উঠল। যেন এক স্বাস্থ্যকর ও রোগমুক্ত সমাজের কথা ভেবে দেবীকে মর্ত্যে আহ্বান জানাল শহর শিলচর।

সব জায়গাতেই এক চিত্র। কাকভোরে সেজেগুজে বেরিয়ে পড়া। উদ্দেশ্যহীন গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলা। শিলচরে যেমন সবাই চান সদরঘাট সেতুতে পৌঁছুতে। মহালয়ার সকাল বলে কথা। পূর্বপুরুষের উদ্দেশে তর্পণের পাশাপাশি মহালয়া যে উতসবেরও আবাহন। শিশু, কিশোর, যুবারা বেশি বেরোলেও বাদ যান না প্রৌঢ়রাও। শিশু কোলে মাঝবয়সী মাকে যেমন ভিড়ে দেখা যায়, নাতির হাত ধরে দাদু-দিদাদেরও দেখা মেলে। রাস্তার ধারের বাড়ির মানুষ গেটে দাঁড়িয়ে, দোতলার বারান্দায় বসে মহালয়া উপভোগ করেন।

ঘণ্টা তিনেকের সে কী উন্মাদনা! বেলুনে সেজে ওঠে গোটা শহর। হাতে বেলুন, বাইকে বেলুন। সঙ্গে বাইকের দাপাদাপি। বেরিয়েছে প্রচুর গাড়িও। অনেকের মতে, এ বার বাইকের দাপট তুলনামূলক কমেছে। কান ঝালাপালা করা হর্নের আওয়াজ ছিল না বললেই চলে। অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে পায়ে চলা মানুষের সংখ্যা। মহালয়ার প্রাতর্ভ্রমণ ঘিরে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। বাঙালি-অবাঙালি হিন্দুদের সঙ্গে কিছু মুসলমান যুবাকেও দেখা গিয়েছে উতসবের আনন্দ ভাগ করে নিতে।

সদরঘাটে বহু সংস্থা জল, সরবত, চা-বিস্কুট বিলিয়েছে বিনা মূল্যে। খাবারের প্রতিটি দোকানে ভিড় ছিল প্রায় উপচে পড়া। তবে পূর্বপুরুষদের স্মরণে যাঁরা বরাক নদীর নানা ঘাটে উপস্থিত হয়েছেন, কোনওকিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি তাঁদের কাছে। কোলাহল তাঁদের ছুঁতে পারেনি। মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে তর্পণ করেছেন শ্রদ্ধাভরে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker