Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ময়নাগরে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সিটু নেতৃত্ব
আকারে-ইঙ্গিতে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নকে দোষারোপ
ওয়েটুবরাক, ৯ অক্টোবর : ৮ অক্টোবর, সিটুর কাছাড়-হাইলাকান্দি জেলা নেতৃত্ব আজ রবিবার ময়নাগরে ধর্ষিতা কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সঙ্গে ছিলেন অখিল ভারতীয় চা মজদুর সংঘের প্রতিনিধিরা। পরিবারের সদস্যরা ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন।
তাঁরা জানান, দুর্গাপূজার অষ্টমীর রাতে ১৬ বছরের কিশোরীটি বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল, তারপর আর ফিরে আসেনি। পরদিন দুপুরের দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কোনওমতে হেঁটে আসতে দেখে উপস্থিত শ্রমিকরা মেয়েটিকে নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে যান এবং সেখান থেকেই পুলিশের সাহায্যে মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।সেখানে সংকটজনক অবস্থায় মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। সে বর্তমানে কথা বলতে পারছে না৷ কারণ তার কন্ঠনালীতে ক্ষুর দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং মৃত ভেবে বস্তা বন্দি করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। জ্ঞান ফিরে পেয়ে অসীম মানসিক শক্তির জোরে বস্তা থেকে বেরিয়ে আসে। মেয়েটি হাতে লিখে দুষ্কৃতীর নাম জানায় ও পরবর্তীতে পুলিশ অভিযুক্ত দুষ্কৃতী সঞ্জয় তেলিকে গ্রেফতার করে।
বাগানের শ্রমিকদের বক্তব্য অনুযায়ী সঞ্জয় পরিকল্পিত ভাবেই ঘটনাটি ঘটিয়েছে এবং সে এইজন্য অনুতপ্ত নয়।
সিটুর সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সঞ্জয় অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের ময়নাগরের অন্যতম নেতা ৷ তাঁর কথায়, “বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর এবং শ্রমিকদের আলোচনার মাধ্যমে জানা যায়, ময়নাগরে এয়ারপোর্ট বিরোধী আন্দোলনের নামে যে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল, যার ফলে বাগানে লক আউট হয়েছিল ,তার অন্যতম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের ওই সঞ্জয় তেলী। সেই সময় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও সমর্থন ছিল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরেও তা প্রকাশিত। এই ঘটনার পর সঞ্জয়কে ইউনিয়ন থেকে বহিষ্কার করে নিজেদের ভাবমূর্তি উদ্ধার করার চেষ্টা হচ্ছে।” সুপ্রিয়বাবু আরও বলেন, “শ্রমিকদের বক্তব্য অনুযায়ী ইদানিং সঞ্জয় নিজেকে প্রভাবশালী নেতা হিসাবেই জাহির করে শ্রমিকদের উপর প্রভাব খাটতে চাইত ৷ উপস্থিত শ্রমিকরা ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তাঁরা এও বলেন, এই অঞ্চলে আগে কখনও কোনও ইউনিয়ন নেতৃত্বের এমন কুকর্ম করার নজির নেই।” সিটুর পক্ষে মোবাইলে মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব ধরনের সহযোগিতার অনুরোধ করা হয়। সিটুর পক্ষে প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিটুর সভাপতি সমীরণ আচার্য, সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিদ্যুত দেব, অখিল ভারতীয় চা মজদুর সংঘের সভাপতি চুনিলাল ভট্টাচার্য , সাধারণ সম্পাদক সাধন দাস, গোপাল ভুমিজ প্রমুখ। সিটুর পক্ষ থেকেও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে । তাঁরা বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে নির্যাতিতার চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করার দাবি জানিয়ে স্মারকপত্র দেওয়া হয়।তাছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে থানায় দেখা করে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।