Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ভাষাশহিদ স্টেশন: জোট বাঁধলেন শহরের বিশিষ্টজনরা
৪ অক্টোবর: ভাষাশহিদ স্টেশন, শিলচর নামকরণের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু হচ্ছে৷ এ বার অবশ্য শুধু ভাষাশহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতি নয়, রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সক্রিয় শহরের বিশিষ্টজনেরা৷ গত ২৭শে সেপ্টেম্বর শিলচর স্টেশন চত্বরে অবস্থিত ‘এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের’ কার্যালয়ে এক বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছিল। উক্ত সভায় সভাপতি মণ্ডলীতে সমিতির সভাপতি বাবুল হোড় ছাড়াও ছিলেন নিখিল পাল, ড. বিশ্বতোষ চৌধুরী এবং ইমাদ উদ্দিন বুলবুল।
শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সামাজিক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সে দিন যোগ দিয়েছিলেন। সকলের আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত হয়, প্রথমে কাছাড় জেলার ৭ বিধায়ক ও সাংসদ রাজদীপ রায়ের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি আদায়ে তাদের সমর্থন ও লিখিত পরামর্শ চাওয়া হবে৷ স্মারকলিপি পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে৷ নামবদলে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত যে রাজ্য বাস্তবায়ন করছে না, সে ব্যাপারে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন তাঁরা৷ দাবি আর আবেদন-নিবেদনেই এ বার শেষ করছেন না তাঁরা৷ শহিদ স্মরণ সমিতির মুখ্য আহ্বায়ক ডা. রাজীব কর বলেন, এ টুকু পর্যন্ত যাওয়ার পরও কাজের কাজ না হলে তাঁরা ৩০ ডিসেম্বরের পর গুয়াহাটি হাইকোর্টে জনস্বার্থ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করবেন৷
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বাবুল হোড়, রাজীব কর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দীপক সেনগুপ্ত, নিখিল পাল, সাধন পুরকায়স্থ, নিলয় পাল, রবি বসু, সংগ্রাম সাগর দে, দেবাশিস সোম, স্বপন দাশগুপ্ত, ভোলা চক্রবর্তী প্রমুখ৷ তাঁরা আশাবাদী, সরকারের অনিচ্ছা এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ধারাবাহিকতার মধ্যেও সুনিয়ন্ত্রিত গণআন্দোলনেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব৷
রাজীব কর উল্লেখ করেন, ২০০৫ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে প্রত্যেক রাজনৈতিক দল ‘ভাষা শহিদ স্টেশন’ নামাকরণের দাবি তুলেছেন৷ তাঁর প্রশ্ন, এখন রাজ্যের অনুমোদন, কেন্দ্রের অনুমোদনের পরেও কেন গৃহীত সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখা হল ? তাঁর কথায়, সেই জায়গায় একটি ক্ষুদ্র সংস্থার দাবিকে মান্যতা দিয়ে পুরো বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রাখা এক বৃহৎ ষড়যন্ত্রেরই আভাস দেয়৷ এর পেছনে সরকারের স্পষ্ট দ্বিচারিতার রাজনীতি আছে বলে অভিযোগ করেন ডা. কর।
প্রাক্তন পুর সদস্য সাধন পুরকায়স্থ বলেন, আসাম সরকার ডিমাসাদের সঙ্গে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন৷ ১৯৬১-র মাতৃভাষা আন্দোলনে ডিমাসাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল । তাদের সঙ্গে আসলে বাঙালিদের কোনও বিরোধ নেই৷