Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ভাবিইনি স্থান পাবো, অকপট বিশ্বদীপ
ওয়েটুবরাক, ৭ জুন: সেবা পরিচালিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবার ৫৫ জন মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছে৷ কিন্তু বরাক উপত্যকা থেকে ওই তালিকায় একজনই৷ বিশ্বদীপ নাথ৷ শিলচর হোলিক্রশ স্কুলের ছাত্র৷ তাঁকে নিয়ে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, আত্মীয়-পরিজনরা তো বটেই, গর্বিত বরাকবাসীও৷ কারণ ও-ই তো মান বাঁচিয়েছে গোটা উপত্যকার৷ কিন্তু বিশ্বদীপের অকপট স্বীকারোক্তি, “আমি তো ভাবিইনি, প্লেস পেয়ে যাব৷ আমার কাছে এটা অপ্রত্যাশিত৷ পেয়েছি তো ভালই লাগছে৷” তার কথায়, ” মনোযোগ সহ পড়েছি ঠিকই৷ চেয়েছিলাম, শুধু ভালো ফল হোক৷’
পড়ার বাইরে আর কী কী করো? কোনও রাখঢাক নেই বিশ্বদীপের৷ শোনায়, পড়ার বাইরে আর কিছুতে আগ্রহ নেই৷ সকালবেলায় শুধু হাঁটাহাটিতে একটু সময় দিই৷ আর তো পড়াই৷” বাবা বিশিষ্ট শিশুচিকিৎসক বিদ্যুৎ নাথ যোগ করলেন, ক্যারাটেটা করে অবশ্য৷ ব্ল্যাক বেল্ট৷ তবে তিনিও ছেলের কৃতিত্ব নিয়ে বাড়াবাড়িতে আগ্রহী নন৷ বলেন, মাধ্যমিকের ফল কোনও বিষয় নয়৷ আরও বহু পথ পড়ে রয়েছে৷”
বিশ্বদীপ তাঁর সাফল্যের পেছনে মা-বাবার ভূমিকার মধ্যে তুলনা করতে নারাজ৷ বলে, দুজনের সমান ভূমিকা৷ একে পরিমাপ বা তুলনা করা যায় না৷
মা প্রতীতি নাথ জানালেন, সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত সে আর দশটা ছেলের মতোই সাধারণ ছিল৷ অষ্টম শ্রেণি থেকে তার মধ্যে পরিবর্তন দেখা দেয়৷ নিজে থেকেই নিয়মিত পড়াশোনা করে৷ পড়ার বাইরে কোনও ভাবনা নেই৷ তখনই মনে হচ্ছিল, মাধ্যমিকে ভালই করবে সে৷
বাবা চিকিৎসক হলেও ছেলের ইচ্ছে, গবেষক হবে৷ কোনও বিষয়ের কথা এখনই ভাবনায় নেই, তবু সে চায়, বড় হয়ে কোনও একটি বিষয়ে মনোনিবেশ করবে৷ তবে রাজনীতিতে যে তার কোনও আগ্রহ নেই, খোলামেলা জানিয়ে দিয়েছে মাধ্যমিকের কৃতী তালিকায় বরাক উপত্যকার প্রতিনিধি বিশ্বদীপ নাথ৷