NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
বিহুর মতো দুর্গাপূজাতেও সরকারি অনুদান চাইলেন কমলাক্ষ
ওয়েটুবরাক, ৩১ আগস্ট : বিহুর মতো দুর্গাপূজাতেও সরকারি অনুদানের দাবি উঠেছে৷ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে চিঠি লিখে এই দাবি জানিয়েছেন অসম প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি তথা উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বিহু অনুদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বিহুর মতো দুর্গাপূজা কমিটিগুলিকেও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হলে তাঁরা সাধারণ মানুষের আনন্দ-স্ফূর্তির জন্য আরও কিছু করতে পারবে৷
মুখ্যমন্ত্রী বা সরকারি তরফে ব্যাপারে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত বা প্রতিক্রিয়া না জানানো হলেও পুজো আয়োজকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে৷ তবে যাদের জন্য কমলাক্ষ সরকারি অনুদান চাইতে গেলেন, তাদের অনেকেই উল্টোকথা শুনিয়েছেন৷ শিলচরের আনন্দ পরিষদের প্রবীণ কর্মকর্তা, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট শিবব্রত দত্ত বলেন, “সরকারি অর্থ জনগণেরই টাকা৷ তা দুর্গাপূজা, বিহু বা ঈদে বিলিয়ে দেওয়া যায় না৷ জনগণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ পরিকাঠামো তৈরি এবং উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কর বা মাশুল হিসাবে সরকারকে অর্থের জোগান দেন৷” সৃষ্টি সংঘের রাজেশ দাস অবশ্য বিজেপি নেতা৷ কমলাক্ষের প্রস্তাব শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন৷ বলেন, “এ আবার কেমন প্রস্তাব! কলকাতার এই সংস্কৃতি এখানে টেনে আনার কোনও অর্থ হয় না৷”
অ্যাপলো ক্লাবের জয়দীপ চক্রবর্তীর কথায়, “পূজার জন্য নয়, সরকার দরিদ্রদের জামাকাপড় কিনে দিতে ক্লাবগুলিকে অনুদান দিতে পারে৷ তাহলে বন্যাবিধ্বস্ত পরিবারগুলি নতুন জামাকাপড় পাবে, আনন্দের মাত্রা বাড়বে৷” তবে অনেক ক্লাবকর্তা আবার বলেন, বিহুতে দিলে দুর্গাপূজাতেও অনুদান দেওয়া উচিত৷
অম্বিকাপুর পূর্বপাড়া হাসপাতাল রোড দুর্গাপূজা কমিটির কর্মকর্তা তমালকান্তি বণিক জেলা কংগ্রেস সভাপতিও৷ তিনি বলেন, “রাজনৈতিক পরিচিতি দূরে সরিয়েই পূজা কমিটির পক্ষে বলছি, এ অত্যন্ত ভালো প্রস্তাব৷” পূজা আয়োজক রাজীব কর তাঁর ক্লাবের বক্তব্য না দিলেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, “অসমে বাঙালিদের বঞ্চনার প্রতিবাদ সূচক কমলাক্ষের এই চিঠি সমর্থনযোগ্য৷ বিহুতে অনুদান দিলে দুর্গাপূজা, ঈদ, বড়দিনেও দেওয়া উচিত৷”