Barak UpdatesHappeningsBreaking News
আসামে আতঙ্ক, বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বললেই থানায়, অভিযোগ সুস্মিতার
ওয়েটুবরাক, ২০ অক্টোবর : “পুলিশকে অতি মাত্রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, শিলচরের বিধায়কের ‘ডিভাইডার পুজো’র ছবিতে হাসির ইমোজি ব্যবহার করায় মঙ্গলবার রাতে যুব তৃণমূল নেতা দীপজয় পালকে থানায় নিয়ে পনেরো ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হল। বছর দেড়েক আগে আর এক যুবনেতা আবির চৌধুরীকে ফেসবুকের এক সাধারণ পোস্টের জন্য পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল। বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য ডলু চা বাগানের জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ করায় শ্রমিক নেতাদের দফায় দফায় থানায় তুলে আনা হয়েছে। গত বছর সাংবাদিক অনির্বাণ রায়চৌধুরীকেও থানায় ডেকে নিয়ে যাওয়ার কথা এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন তিনি৷ জানান, বিজেপি এবং পুলিশের বাড়াবাড়ি নিয়ে ওয়েবপোর্টালে সংবাদ করায় তাঁকে রাষ্ট্রদ্রোহে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এই কয়টি শুধু কাছাড় জেলার ঘটনা হলেও সারা রাজ্যে একই চিত্র বলে মন্তব্য করেন সুস্মিতা। বলেন, মানুষের অসহায়ত্ব এতটাই চরমে যে, কাউকে বিনা কারণে তুলে নিয়ে গেলেও পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ জানাতে পারেন না। যদি পুলিশ পালিয়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে গুলি করে মেরে ফেলে। এনকাউন্টারকে ‘বিজেপি আমলের নতুন আতঙ্ক’ বলে উল্লেখ করেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর ব্যাখ্যা, ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় চোর-ডাকাত-খুনিদেরও আইনের সাহায্য নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আদালত তাদের বিচার করবে। কিন্তু হিমন্ত বিশ্ব শর্মার আমলে পুলিশই বিচার করে নিচ্ছে, গুলি করছে।
তৃণমূল নেত্রীর আরও অভিযোগ, গাড়িচাপা দিয়ে সাংবাদিক মলিন শর্মাকে হত্যা করা হয়েছে, অপহৃতা নেহা বাগতিকে বছরের পর বছর ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, ব্যাঙ্ক বা এটিএম থেকে টাকা তুলে মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছেন না, দিনদুপুরে টাকা ছিনিয়ে যাচ্ছে, রাস্তা থেকে মহিলার গলার চেন টেনে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা, পুলিশ কিছু করতে পারে না। এজাহার দিলে বলে, থানায় গাড়ি নেই, কর্মীর অভাব৷ সে সময় বিজেপি চোখকান বন্ধ করে রাখে৷
নির্বাচনের সময় তাঁর বিরুদ্ধেও যে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছিল, সে কথা টেনে এনে সুস্মিতা দেব জানান, তিনি এজাহার দিলেও এ পর্যন্ত পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে এই ইস্যুতে আলাপচারিতার সময় সাংসদ দেবের পাশে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাজেশ দেব, প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক মোহনলাল সাহা, মুখপাত্র জ্যোতিরিন্দ্র দে, অরিন্দম হোড় প্রমুখ৷