NE UpdatesHappeningsBreaking News
বাংলা সাহিত্য সভা-র লামডিং শাখা গঠিত

ওয়ে টু বরাক, ১৬ ফেব্রুয়ারি : মধ্য অসমের অন্যতম সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে পরিচিত রেলশহর লামডিঙে অবশেষে বাংলা সাহিত্য সভা-র শাখা গঠিত হল। বরাক-ব্রহ্মপুত্র দুই উপত্যকায় ইতিমধ্যে জেলায়-জেলায় বা বিভিন্ন জনপদে বাংলা সাহিত্য সভার শাখা গঠন হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে লামডিঙে একটি শাখা গঠনের কথা চলছিল। সাহিত্য-সংস্কৃতির শহর বলে পরিচিত লামডিঙে অবশেষে তা বাস্তবায়িত হল।
লামডিঙের ঐতিহ্যমণ্ডিত প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দির প্রাঙ্গণে শহরের সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে নতুন সমিতি গঠন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলা সাহিত্য সভার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ড. প্রশান্ত চক্রবর্তী। বাংলা সাহিত্য সভার নবগঠিত লামডিং সমিতিতে লামডিঙের সর্বজনপরিচিত কৃতী ব্যক্তিরা রয়েছেন। উপদেষ্টামণ্ডলীতে আছেন অধ্যাপক মন্দিরা দাস শর্মা, অধ্যাপক উমা ভৌমিক, ড. সংঘমিত্রা দাস বসু, ডা. রবীশ্বর ঘোষ, চন্দন দেব, সরোজ চক্রবর্তী, সুশান্ত দেশমুখ্য।
সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন লামডিঙের শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক ও প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দিরের অধ্যক্ষ শেখর চক্রবর্তী। সহ-সভাপতি অধ্যাপক অঞ্জন পাল। সম্পাদক পার্থপ্রতিম দাস। যুগ্ম সম্পাদক রূপে আছেন চিত্রাবলি বরুয়া আচার্য ও অধ্যাপক অঙ্কিতা মিশ্র। কোষাধ্যক্ষ রূপে দায়িত্ব নিয়েছেন গৌতম তালুকদার। সভার সহযাত্রী তথা সদস্য মন্টুলাল আচার্য, রত্না দে, মনিকা তালুকদার, জলি রক্ষিত, অনিল রুদ্র পাল, জয়শ্রী আচার্য, ক্ষমা চক্রবর্তী, সংগীতা কবিরাজ, সুপ্তা দাস ও মৃদুল দাস।
এদিন সভা পরিচালনা করেন বর্ষীয়ান শিক্ষাবিদ বঙ্কিম চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন লংকা মহাবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তী, অনুবাদক-সাহিত্যিক রুনুমি শর্মা এবং বাংলা সাহিত্য সভার পার্বত্য জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হরিশংকর চক্রবর্তী প্রমুখ।
বৈঠকের শুরুতে বাংলা সাহিত্য সভার সাধারণ সম্পাদক ড. প্রশান্ত চক্রবর্তী সাহিত্য সভা গঠনের নেপথ্যকথা তথা পথচলার ইতিহাস বিস্তৃতভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা মিলে এক কোটিরও বেশি বাঙালি আছেন। আমরা চাই, এই জনসম্পদ অসমের জাতীয়জীবনে আরও নৈকট্য লাভ করুক। বাংলা ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির সেবার পাশাপাশি অসমিয়া ও অন্যান্য ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় ও সমতা রক্ষায় আমরা বিশ্বাসী। আমরা চাই মাতৃ ও ধরিত্রীর মেলবন্ধন ঘটুক। আমরা আমাদের রাজ্যের কল্যাণযজ্ঞে যুক্ত হয়েছি। লামডিংও সেই যজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছে, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। বৈঠকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। তার মধ্যে লামডিঙে বিশালভাবে একটি সাহিত্য-সংস্কৃতিমূলক মিলনোৎসব করার সিদ্ধান্ত হয়।