NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News

বাংলাদেশি? ছয় বছর পরে মুক্তি পেল মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক

ওয়েটুবরাক, ২৬ এপ্রিল : বাংলাদেশি নাগরিক হিসাবে শিলচর ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি থাকার পরে আজ মঙ্গলবার মুক্তি পেলেন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক অমিত বসু৷ হাই কোর্টের রায়ের প্রতিলিপি নিয়ে এ দিনই ডিটেনশন সেন্টারে উপস্থিত হন অরবিন্দ বসু-নীলিমা বসু৷ নীলিমাদেবীর আবেদনের প্রেক্ষিতেই হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ অমিতকে তাঁর কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়৷

২০১৬ সালে বাবার হাতে মার খেয়ে গুয়াহাটি লালগণেশের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিল অমিত৷ তখন তার ১৮-১৯ বছর বয়স৷ গুয়াহাটি থেকে ট্রেনে চড়ে চলে আসে বদরপুরে৷ তাকে দেখে জিআরপি-র সন্দেহ হয়৷ বাড়ি বাংলাদেশে কিনা জিজ্ঞাসা করলে ঘাড় নেড়ে “হ্যাঁ” বলে৷ পরদিন করিমগঞ্জ আদালত তাকে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে এক বছরের কারাবাসের রায় দেন৷ এক বছর জেলে কাটানোর পরে ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্পে৷

তখন থেকে অরবিন্দ-নীলিমা বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা, অনেক আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ শেষে এ বছর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন৷ নীলিমা বসুর আবেদনে আইনজীবী পি আগরওয়াল সমস্ত নথি জমা করে ডিভিশন বেঞ্চকে জানান, অমিত আসলে মানসিক ভারসাম্যহীন৷ তার মা-বাবা ভারতীয়৷ তার দাদু মনীন্দ্রলাল মুহুরি ব্রিটিশ আমলে রেলে চাকরি করতেন৷

সব নথিপত্র দেখে বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহ এবং বিচারপতি ননী টাগিয়া শিলচর এবং কামরূপের ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে মা-ছেলের সম্পর্কের যথার্থতা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন৷ তাঁরা ইতিবাচক রিপোর্ট দিলে গত বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ অমিতকে মায়ের কাছে হস্তান্তর করতে নির্দেশ দেন৷ নাগরিক অধিকার রক্ষা সমিতির প্রধান সম্পাদক সাধন পুরকায়স্থের অভিযোগ, পুলিশ বাংলাদেশি সাজানোর চেষ্টাতেই থাকে৷ তাই মানসিক ভারসাম্যহীনকেও এতদিন জেলে থাকতে হল!

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker