Barak UpdatesHappeningsCultureFeature Story
‘বরাক ফোরাম’ সংস্থার উদ্যোগে জমজমাট সাহিত্য আসর
ওয়েটুবরাক, ২০ সেপ্টেম্বর : ‘বরাক ফোরাম’ সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত হল এক জমজমাট সাহিত্য আসর । রবিবার শিলচর শহরের সোনাই রোডে আয়োজিত এই আসরে সভাপতিত্ব করেন প্রাবন্ধিক, লেখক দীপক সেনগুপ্ত । সঞ্চালনা করেন সংস্থার আহ্বায়ক দেবরাজ দাশগুপ্ত । ‘কবির শহর’ শিলচরের গৌরবময় কবিতা চর্চার ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকগুলি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে, ‘বরাক ফোরাম’ সব গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে বরাক উপত্যকার সাহিত্য আন্দোলনের বহমানতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দায়বদ্ধ । সভার শুরুতে আহ্বায়ক দেবরাজ দাশগুপ্ত প্রারম্ভিক বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন৷
রবিবারের সাহিত্য আসরে যোগ দিতে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে কবি সাহিত্যিকরা এসেছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যুথিকা দাস এবং জাহানারা মজুমদার।
বিশিষ্ট কবি চন্দ্রিমা দত্তের বক্তব্যে সাহিত্য সংগঠন চালানোর বিভিন্ন টুকিটাকি উপদেশ দিয়ে তরুণদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্য রাখেন এবং নিজের লেখা কবিতা পাঠ করেন। কবি সুপ্রদীপ দত্তরায় উপস্থিত থেকে সাম্প্রতিক কালের ‘বৃষ্টিকথা’ গ্রুপ পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা এবং কবিতা বিষয়ক তাঁর নিজস্ব ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, সময়ের দাবি সংবেদনশীল মনে কবিতার জন্ম হয়। কবি দোলনচাঁপা দাস পাল ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, অভিভাবক সম সাহিত্য সংগঠন থেকে তাঁরা কোনও উৎসাহ লেখালেখির জীবনের প্রথম দিকে পাননি । দোলনচাঁপার বক্তব্যকে সমর্থন করে চন্দ্রিমা দত্ত এবং শতদল আচার্যও বক্তব্য রাখেন। ‘বরাক ফোরামে’র আহ্বায়ক কল্পর্ণাভ গুপ্ত নিজের লেখা অণুগল্প পাঠ করেন। সাহিত্য আসরে নিজেদের লেখা কবিতা এবং গল্প পাঠ করেন জাহানারা মজুমদার, যুথিকা দাস, চন্দ্রিমা দত্ত, শিপ্রা দাস, শিখা রায়, জয়া দাস, সঞ্জিতা দাস(লস্কর), দীপাঞ্জলি চৌধুরী, দোলনচাঁপা দাস পাল, পঙ্কজ মালাকার, আদিমা মজুমদার, পাপিয়া সিকদার ও দীপক সেনগুপ্ত । উপস্থিত ছিলেন বাচিক শিল্পী সব্যসাচী পুরকায়স্থ ও সঙ্গীত শিল্পী দিলীপ সিনহা। সাহিত্য বিষয়ক একটি নিবন্ধ পাঠ করেন কবি সুজিত দাস । প্রায় তিন ঘন্টা সময় ধরে সুশৃঙ্খল ও আন্তরিক পরিবেশে সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয় । সে আসর শেষ হয় জয়া দাসের গানে। ভাষিক আগ্রাসন এবং ভাষা বিকৃতিকে প্রতিহত করতে আগামীতে আরও অনেক সাহিত্য আসর আয়োজন করে সাহিত্য আন্দোলনের বহমানতাকে বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে আসর শেষ হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এটা ছিল উক্ত সংস্থার তৃতীয় উদ্যোগ।