Barak UpdatesHappeningsBreaking News
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ মন্ত্রী জয়ন্তর
ওয়েটুবরাক, ১৩ জুলাই : রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী জয়ন্ত মল্ল বরুয়া হাইলাকান্দি জেলার সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সকলের নাম ক্ষতিপূরণের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি শুক্রবার করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি জেলাশাসকের সভাকক্ষে সাম্প্রতিক বন্যার দুটি পৃথক রিভিউ মিটিংয়ে একই নির্দেশ দেন। তিনি রাজস্ব বিভাগের কর্মচারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতি নিরূপণ করতে বলেন। বৈঠকে জানানো হয়, প্রথম দফার বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়ে গিয়েছে৷ দ্বিতীয় দফার বন্যার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এর কাজ চলছে। মন্ত্রী বলেন, আগামী ২০ জুলাইর মধ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে পোর্টেলে তা দাখিল করতে হবে।
হাইলাকান্দির বৈঠকে জানানো হয়, প্রথম দফায় জেলার ১০৯টি গ্রামের ৪৯ হাজার ২৫৯ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ৭৯টি গ্রামের ১৪ হাজার ৭৫২ জন বন্যার কবলে পড়েন। প্রথম দফায় ১৬টি রিলিফ ক্যাম্প এবং দ্বিতীয় দফার বন্যার ৮টি রিলিফ ক্যাম্প খোলা হয়। রিলিফ হিসেবে প্রথম দফায় চাল ৫৭৯ কুইন্টাল, ডাল ১০৭ কুইন্টাল, লবণ ৩৪ কুইন্টাল, ভোজ্য তেল ৩৪৩৯ লিটার এবং পশুখাদ্য ৩৭০ কুইন্টাল বন্টন করা হয়। দ্বিতীয় দফায় রিলিফ হিসাবে চাল ৩৪৬ কুইন্টাল, ডাল ৬৬ কুইন্টাল, লবণ ২০ কুইন্টাল, ভোজ্য তেল ১৯৯৬ লিটার বন্টন করা হয়। বন্যায় জেলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া গবাদি পশুর মধ্যে রয়েছে ১৩৯৩টি গরু-মহিষ, ৫ হাজার ৪৩৩টি ছোট গবাদি পশু এবং ৩৪ হাজার ৭৯৭টি খামার মুরগি।
বন্যায় জেলার তিনটি স্থানে নদী বাঁধ ভাঙ্গনের কবলে পড়লেও এগুলির মেরামতির কাজ চলছে বলে সভায় জানানো হয়।। জল সম্পদ বিভাগ থেকে সভায় জানানো হয়, বন্যা প্রতিরোধী বালুর বস্তা পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। পিএইচই বিভাগ জানায়, পানীয় জল পরিশোধনের জন্য পর্যাপ্ত কেমিক্যাল মজুত রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগকে মন্ত্রী বন্যা পরবর্তী রোগ প্রতিরোধে মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজনের নির্দেশ দেন। এপিডিসিএলকে তাদের পরিষেবা সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ প্রচার করতে বলেন। জেলাশাসক নিসর্গ হিভারে জানান, ত্রাণ ও পুনর্বাসনের অর্থ প্রশাসনের হাতে মজুত রয়েছে।
সভায় সাংসদ কৃপা নাথ মালাহ, তিন বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, কৌশিক রাই ও জাকির হোসেন লস্কর, বিজেপি নেতা স্বপন ভট্টাচার্য অংশ নেন।