Barak UpdatesHappeningsBreaking News
প্রতিনিয়ত হতাশার চিত্র নতুন প্রজন্মকে বাইরে ঠেলছে, পাল্টা তোপ কৌশিকের
বরাক বঙ্গের অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে সংলাপ

ওয়েটুবরাক, ১৯ মার্চঃ বরাক উপত্যকার ব্রেন ড্রেনের জন্য মন্ত্রী কৌশিক রাই এই অঞ্চলেরই একাংশ বুদ্ধিজীবীকে একহাত নেন। তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর ক্ষোভ, তাঁরা ফেসবুকে প্রতিনিয়ত নেই-নেই, কিছু হচ্ছে না, কিচ্ছু হবে না জাতীয় মন্তব্য পোস্ট করে যান। পত্রপত্রিকাতেও তাঁরা অনুরূপ লেখালেখি করেন। মন্ত্রীর বক্তব্য, এ সব বলে এমন এক পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে যে, নতুন প্রজন্ম অনিশ্চয়তায় পড়ে যান, ধন্দে পড়ে যান। এর পরই তারা বহির্মুখি হন।
বঙ্গ ভবনে আয়োজিত বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের আকাদেমি পত্রিকার বিশেষ সংখ্যার উন্মোচন এবং বরাকের অর্থনীতি বিষয়ে সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনিই ছিলেন উন্মোচক, মুখ্য বক্তা। কৌশিক বলেন, দীর্ঘদিনের না পাওয়ার যন্ত্রণা থেকে এমন হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এখন লক্ষাধিক চাকরি, চারদিকে সড়ক, প্রচুর ট্রেন থাকলেও মানুষ হতাশা থেকে বের হতে পারছেন না।
তিনি বিজেপি আমলের নানা সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরে বলেন, বরাক উপত্যকায় মেধার অভাব নেই। তারা চাকরিও পাচ্ছেন। বরাক বঞ্চিত, এই অপবাদ ছড়াতে সক্রিয় একটি চক্র রাজ্যের কোনও নিযুক্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই অভিযোগ তোলে, বরাকের কতজন চাকরি পেয়েছেন? রাজনৈতিক ফয়দা খুঁজে অনেকে বলেন, বরাক উপত্যকার নিযুক্তি প্রাপ্তদের তালিকা দিন। তাঁদের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি হিমন্ত সরকার, এ কথা জানিয়ে কৌশিক এ দিন বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ১ লক্ষ ৬০ হাজার চাকরি দেওয়ার পর একটি বুকলেট প্রকাশ হবে। তাতে নিযুক্তি প্রাপ্তদের নাম, পিতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা, নিযুক্তির তারিখ এবং বিভাগের উল্লেখ থাকবে। তখনই সবাই হিসেব পেয়ে যাবেন।
তাঁর আক্ষেপ, যাঁরা মায়াকান্না করেন, তাঁরা উপত্যকার ছেলেমেয়েদের মেধাকে চাকরির উপযোগী করে তুলতে কোনও ব্যবস্থা নেন না। উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন না। এমনকী আবেদনের তথ্যগুলো পর্যন্ত পৌঁছে দেন না। উদাহরণ দিয়ে বলেন, প্রথম বারের এডিআর পরীক্ষার আগে তিনি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিলেন, শুধু তাঁর লক্ষীপুর আসনে ১১৯ জন চাকরি পেয়েছেন। এ বার পেয়েছেন আরও ২২জন। বরাকে মেধার অভাব রয়েছে নাকি, না জেনেবুঝে এই প্রশ্ন তুলে যুব প্রজন্মকে অহেতুক বিভ্রান্ত করা হয়। কৌশিক জানান, গত কিছুদিনে ১৫ জন এই উপত্যকা থেকে এসিএস হয়েছেন। সংখ্যাটি মোটেও কম নয়। ফলে বরাকের ছেলেমেয়েরা রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলের মতোই সমান মেধাবী।
তিনি আরও আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আত্মনির্ভর আসাম প্রকল্পে ১৮ থেকে ৪৩ বছর বয়সি যে কেউ আবেদন করতে পারেন। প্রথম পর্যায়ে কাছাড় জেলায় ১৪০০ ছেলেমেয়ে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু আবেদনের অভাবে পেয়েছে মাত্র ১১০০জন। আবার আবেদন নেওয়া হয়েছে, জেলার সুবিধা পাবেন ৩৪০০ যুবক-যুবতী। আবেদন করেছেন ৪৫৩৪ জন। স্ক্রিনিংয়ের পরে এ বারও কোটা ফাঁকা পড়ে থাকবে। মন্ত্রী এ সব ব্যাপারে তৎপর থাকতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।