Barak UpdatesBreaking NewsFeature Story
পশ্চিম শিলচরে মেলা অসংখ্য রথের
এক জায়গায় বহু রথ। একেকটি একেক অঞ্চলের। কোনও রথ পঙ্ক্ষীরাজের আদলে, কোনওটি গরুড়ের মস্তক শোভিত। রয়েছে তেতলা, চারতলা রথও। এমন দৃশ্যই দেখা গেল পশ্চিম শিলচর বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি গ্রামের জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহামিলন উতসবে। এ যেন প্রকৃত অর্থেই মহামিলন। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি গ্রামগুলি থেকে একের পর এক রথ জড়ো হয় সিঙ্গারির খোলা মাঠে। সেই রথের মেলা দেখতে সামিল হন বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ। আজও মহামিলন উপলক্ষে আয়োজিত মঞ্চে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি সংগঠক রামকৃষ্ণ সিংহের পাশে বসেন বাঙালি চিকিতসক রাজদীপ রায়, বিজেপির শশাঙ্ক ধরের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন কংগ্রেসের পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী।
গত ১৪ জুলাই কাছাকাছি যত গ্রাম থেকে রথ বেরিয়েছিল, সবকটির যাত্রা শেষ হয় জগন্নাথদেবের মাসীর বাড়ি গিয়ে। সেখান থেকে আজ বিকেলে তিন ভাই-বোন রওয়ানা দেন নিজেদের বাড়ির উদ্দেশে। অন্যত্র সমস্ত রথ যে যার পথে বাড়ি ফিরলেও ব্যতিক্রম সিঙ্গারি। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি অধ্যুষিত ওই এলাকায় প্রায় প্রতি গ্রাম থেকে একটি রথ বেরোয়। উল্টো-রথের দিনে সকলের প্রাথমিক গন্তব্য রথের মেলা। সেখান থেকেই সৃষ্টি প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতার। শুধু কি আর রথসজ্জার প্রতিযোগিতা! রথের আগে এগিয়ে চলে পরম্পরাগত বাদ্য-নৃত্য। সকলের লক্ষ্য সেরা হওয়া। এমনকী, রশি ধরে এগিয়ে চলা নারী-পুরুষ কারা কী পোশাক পরলেন, এও চর্চার ব্যাপার। একেক গ্রামের একেক রকম ইউনিফর্ম।
ঠিক কবে থেকে এই মেলা শুরু হয়েছে, প্রবীণরাও ঠিকঠাক বলতে পারেন না। সবাই বললেন, বাবা-ঠাকুর্দার মুখে শুনেছি, তাঁরাও শৈশবে মেলার আনন্দে গা ভাসিয়েছেন।