Barak UpdatesBreaking News
পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ভেঙে বিক্রি জিপি সভানেত্রীর স্বামীর! অভিযোগ কুশিয়ারকুলে
২৩ জুলাইঃ পশ্চিম কাটিগড়ার সরকারি পশু চিকিৎসা কেন্দ্র ভেঙে বিক্রি করেছেন জিপি সভানেত্রীর স্বামী। এমনই অভিযোগ তুললেন এলাকার বিজেপি কর্মী সহ স্থানীয়রা। প্রায় ৫৫ বছরের পুরোনো ওই সরকারি ভবন কুশিয়ারকুল জিপি সভানেত্রী মিতা নাথের স্বামী কনক নাথ ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন বিজেপি কর্মকর্তা দিবাকর দে, প্রাক্তন জিপি সভাপতি বাবলু দাস, সমাজসেবী ইসমাইল আলী বড়ভূইয়া, জিপির উপ সভাপতি সন্তোষ মুণ্ডা, যুব মোর্চার কালাইন মন্ডল সাধারণ সম্পাদক অমিত পাল, ওয়ার্ড সদস্য রাজকুমার দাস, মলয় চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
সোমবার সন্ধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ নিয়ে কনক নাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন তাঁরা। বিজেপি কর্মকর্তা ও অন্যান্যরা বলেন, ১৯৬৫ সালে এলাকার বিশিষ্ট নাগরিক তথা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ককো সিংহ এবং সমাজসেবী বসন্ত কুমার দে তৎকালীন মহাদেবপুর জিপি অফিসের নামে বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় স্থাপনের জন্য জমি দান করেছিলেন। ১৩ নম্বর পাট্টার ৯১ দাগে দুটি দলিলের মাধ্যমে ১২ কাঠা ও ৮ কাঠা করে মোট ২০ কাঠা জমি দান করেন। প্রয়াত ওই দুই ব্যক্তির দানকৃত জমিতে পরবর্তীতে একে একে গড়ে উঠেছে কৃষি বিভাগের গ্রাম সেবক কোয়ার্টার,পশু চিকিৎসা উপকেন্দ্র এবং বর্তমান কুশিয়ারকুল গাঁও পঞ্চায়েত কার্যালয়। কিন্তু গত ১৮ জুলাই স্থানীয় লোকজনকে না জানিয়ে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিপি সভানেত্রী মিতা নাথের স্বামী কনক নাথ পশু চিকিৎসালয়ের উপকেন্দ্রটি ভেঙে ফেলেন।
পরে প্রাক্তন জেলাপরিষদ সদস্য সুব্রত চক্রবর্তী এবং বিভাগীয় আধিকারিক নিতাই চন্দ্র সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এলাকাবাসী। কিন্তু বিভাগীয় ওই আধিকারিক ভবন ভাঙা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে এলাকাবাসীকে জানান। বিজেপি কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, একটি সরকারি সম্পত্তি ভাঙার আগে যে সব আইনি প্রক্রিয়া পালনের কথা তার কোনও কিছুই করেননি কনকবাবু। শুধু নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি সরকারি সম্পত্তি ধংস করেছেন। তারা প্রশ্ন তোলেন, কোন অধিকারে তিনি ভবনটি ভাঙলেন। বিজেপি কর্মীরা এনিয়ে শীঘ্রই কাছাড়ের জেলা শাসক লায়া মাদ্দুরির সঙ্গে দেখা করবেন। এছাড়া উপযুক্ত তদন্তের দাবিতে স্মারকপত্রও প্রদান করবেন। প্রয়োজনে তারা আন্দোলনে নামবেন বলে জানান।