Barak UpdatesHappeningsAnalyticsBreaking News
পরিমলকে এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কি বন বিভাগের অভিযান?
ওয়েটুবরাক, ৩১ ডিসেম্বর : বনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছেন মন্ত্রীর নিজের বিভাগের, নিজের এলাকার রেঞ্জ অফিসার। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেআইনি ভাবে মজুত বেশ কিছু মূল্যবান কাঠ। কিন্তু এমন অভিযানের কথা মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য জানতেন না বলেই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন৷ এমনকী, তাঁর দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনও অভিযোগ রয়েছে বলেও অফিসাররা মন্ত্রীকে জানাননি বলে স্পষ্টই বলেছেন শুক্লবৈদ্য৷ সেখান থেকে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা, তবে কি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অভিযান চলল বাঙালিমন্ত্রীর দেহরক্ষীর বাড়িতে? নইলে মন্ত্রীকে একেবারে বুঝতে না দিয়ে বিভাগের অফিসাররা কী করে তাঁর দেহরক্ষীর বাড়িতে অভিযান চালালেন? এতদিনেও এ ব্যাপারে মন্ত্রীর কোনও বক্তব্য নেই কেন? আসাম পুলিশের ষষ্ঠ ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল উজ্জ্বলশংকর রায় ওরফে তুষার কী করে স্ত্রীর নামে বাড়িতে টিম্বার ডিপো খুলে দিতে পারেন, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ তাও সর্বাধিক দশ ইঞ্চির জায়গায় চব্বিশ ইঞ্চি ব্যান্ডের কাঠ চেরাই মেশিন ব্যবহার করেছেন কোন সাহসে, কার ভরসায়?
রেঞ্জ অফিসার এস পাটোয়ারির নেতৃত্বে বন বিভাগের অফিসার-কর্মীরা মেশিনটি বাজেয়াপ্ত করেছেন। ওই সূত্রেই তাঁরা উজ্জ্বলশংকর-মনীষার বাড়িতে তল্লাশি চালান। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বেআইনি ভাবে মজুত প্রচুর কাঠ। রেঞ্জারের কথায়, তাঁদের ওই সব বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর বৈধ নথিপত্র দেখাতে বলা হয়েছে। না পারলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কাছাড়ের পুলিশ সুপার রমণদীপ কৌর জানিয়েছেন, মন্ত্রীর দেহরক্ষীর বাড়িতে বন দফতরের তল্লাশির ঘটনার দিকে তাঁরা নজর রাখছেন। বেআইনি কার্যকলাপের প্রমাণ মিললেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য৷ প্রশ্ন ওঠে, শুক্লবৈদ্যর বন মন্ত্রকে কি মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজস্ব অফিসার গোষ্ঠী তৈরি করে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু করেছেন? এর আগেও তিনি বন বিভাগের অফিসার-কর্মীদের এক সভায় মন্ত্রকের কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। পরিমল শুক্লবৈদ্যর উপস্থিতিতে জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে মন্ত্রীকে রেখেই তিনি নিজে বন মন্ত্রকে কাজ করবেন। তবে কি হিমন্ত বনমন্ত্রীর দেহরক্ষীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই কাজটাই শুরু করলেন?