Barak UpdatesHappeningsBreaking NewsFeature Story

পরিবেশ দিবসে লাগান না একটা তুলসী গাছই, লিখেছেন শতাক্ষী ভট্টাচার্য

//শতাক্ষী ভট্টাচার্য//

জীববৈচিত্র্য৷ এটিই এ বার পরিবেশ দিবসের  থিম। স্বাভাবিকভাবেই  পৃথিবীর সবরকমের প্রাণী সহ আমাদের সবুজায়নের বৈচিত্র্যকে বাঁচিয়ে রাখার অঙ্গীকারের প্রসঙ্গ উঠে আসে। কারণ, জীবকে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে পারে একমাত্র সবুজে ঘেরা নির্মল পরিবেশই। প্রাণ ও নির্মল বায়ু একে অপরের পরিপূরক বললে ভুল হবে না। সবমিলিয়ে একটা স্বচ্ছ, সুন্দর, নির্মল পরিবেশ সম্পর্কে  মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশেই এই পরিবেশ দিবস পালন।  কারণ  প্রকৃতি না বাঁচলে মানবজাতিই যে বিপন্ন হবে তার গুরুত্ব বোঝানো ও এসংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানোই মূলত এমন দিবস পালনের প্রধান লক্ষ্য। ১৯৭৪ থেকে এই চিন্তাধারা নিয়েই শুরু হয়েছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন। বর্তমানে গোটা বিশ্বে পরিবেশ দূষণের সমস্যা ক্রমশ তীব্র আকার নিচ্ছে। মানুষ তাদের সুবিধার জন্য সংস্থান তৈরি করেছে। আর তার জন্য ধ্বংস করেছে পরিবেশকে।

গাছপালা, বনাঞ্চল নষ্ট করার ক্ষেত্রে দুটি দৃষ্টিভঙ্গি  হতে পারে। কিছু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে  ইচ্ছাকৃত ও অপ্রয়োজনীয়৷ আরেকটা দিক হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি সহ পরিকাঠামো তৈরির জন্য জায়গাকে আবাদ করতে গিয়েও বনধ্বংস হচ্ছে। যদিও দুটোই প্রকৃতিবিরোধী। তবে পথ আমাদেরই খুঁজে বের করতে হবে।

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে কল-কারখানা, উন্নত পরিকাঠামো, তথ্য-প্রযুক্তি চাই, এ বাস্তব সত্য। আবার নির্মল পরিবেশ ও প্রাণবায়ুর জন্য চাই পর্যাপ্ত অক্সিজেন। এর জন্য আমাদের এ রকম গাছ লাগাতে হবে, যেসব গাছ বেড়ে উঠতে  বেশি পরিসর লাগে না। আমরা ঘরের ভেতরেও লাগাতে পারি এগুলো। অথচ ওষুধিগুণ ও অক্সিজেনের জোগান বেশি দেয়।  যেমন, তুলসী গাছ। ছোটো আকৃতির। যে কোনও জায়গায় পরিকল্পনা মতো লাগানো যায়। ২৪ ঘন্টা অক্সিজেনের জোগান দেয় এই গাছ। তাছাড়া, অতুলনীয় ওষুধি গুণাগুণে ভরপুর। সেই রকম গিলই , দুধিয়া , শতবরী, বাসক ,নিম, অশ্বগন্ধা, অ্যালোভেরা এই সমস্ত গাছও লাগানো যায় । সব গুলোই ওষুধি গাছ। এদের গুণাবলী অশেষ।

এই সমস্ত গাছের সঙ্গে আরও একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ গাছের নাম করতে হয়। আর সেই গাছ হলো লক্ষীতরু বা paradise বা পারিজাত বৃক্ষ।এটিও একটি ওষুধি গাছ। অন্যান্য গাছের তুলনায় এ আমাদের অনেক বেশি অক্সিজেন দেয়। এই গাছ যেখানে লাগানো হয়, সেই জায়গার মাটিকে উর্বর করে তোলে। এর থেকে অনেক রোগের ঔষধও তৈরি করা হয়। ক্যানসারের কেমোথেরাপির ওষুধেও এই গাছ লাগে। পরিবেশ বাঁচলেই আমরা ও বাঁচবো। নির্মল পরিবেশ মানেই হলো সুস্থ জীবন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also

Close
error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker