NE UpdatesHappeningsBreaking News
নিয়মিত মাশুল আদায়ের পরও বিদ্যুতে লোকসান কেন, তদন্ত দাবি
ওয়েটুবরাক, ২৮ ফেব্রুয়ারি : এপিডিসিএল কৰ্তৃপক্ষ হঠাৎ করে শিলচরের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিদ্যুৎ বিল অগ্রিম প্রদানের জন্য চাপ দিচ্ছে এবং বিল প্রদানে সামান্য বিলম্বের অজুহাতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে৷ এই সব ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন’র কাছাড় জেলা কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার শিলচরের পানপট্টিস্থিত এ পি ডি সি এল কার্যালয়ের সামনে সংগঠনের রাজ্য শাখার আহ্বায়ক হিল্লোল ভট্টাচার্য, জেলা শাখার সহসভাপতি দিলীপ নাথ, চাম্পালাল দাস প্রমুখ গ্রাহকদের মধ্যে প্রিপেড স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রচার পত্র বিলি করেন। প্রচার পত্র বিলি করার সময় তারা গ্রাহকদের বলেন, বিদ্যুৎকে পরিষেবার পরিবর্তে লাভজনক পণ্যে পর্যবসিত করার প্রথম ধাপই হচ্ছে প্রতিটি গ্রাহকের সংযোগকে প্রিপেডে পরিবর্তন করে নেওয়া। বর্তমানে গ্রাহকদের বিল বেশি এলে বা বকেয়া থাকলে আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নেওয়ার যে ব্যবস্থা ছিল তা ভবিষ্যতে থাকবে না। গ্রাহকরা কত ইউনিটের জন্য কত টাকা দিচ্ছেন তা জানতে পারবেন না। সংগঠনের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
অন্যদিকে মাশুল বৃদ্ধির জন্য এপিডিসিএল কৰ্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ নিয়ামক আয়োগের নিকট দাখিল করা আবেদনের উপর শুনানিতে অন্যান্য সংগঠনের সাথে অল আসাম ইলেকট্ৰিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশনও এদিন অংশগ্ৰহণ করে। উপদেষ্টা বিমল দাস, আহ্বায়ক অজয় আচাৰ্য ও সদস্য অজিত আচাৰ্য গুয়াহাটিস্থিত নিয়ামক আয়োগের কার্যালয়ে শুনানিতে উপস্থিত হয়ে সংগঠনের বক্তব্য তুলে ধরেন। গ্ৰাহকদের কাছ থেকে মাশুল সংগ্রহ করলেও কেন এপিডিসিএল’র প্ৰতিবছর লোকসান হয়, তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য নিয়ামক আয়োগের নিকট পরামৰ্শ প্রদান করা হয়। এছাড়াও বিদ্যুতের মাশুল পুনরায় বৃদ্ধি না করতে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরা হয়।