Barak UpdatesHappeningsBreaking News
নববর্ষের প্রভাতে বরাক বঙ্গের শোভাযাত্রায় ব্যাপক সাড়া

ওয়েটুবরাক, ১৬ এপ্রিলঃ নতুন বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানাতে শিলচরে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন আয়োজিত প্রভাতী শোভাযাত্রায় পা মেলালেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। বাঙালিদের সঙ্গে যোগ দিলেন মণিপুরি, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি, ডিমাসা, হিন্দিভাষী সহ নানা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। অখণ্ড বাঙালি জাতীয়তাবোধের চেতনাকে জাগ্রত করা এবং ভাষিক ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিশাল ব্যানার নিয়ে শিলচর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পরিক্রমা করলেন তাঁরা।
ব্যানার নিয়ে সামিল ছিলেন এই অঞ্চলের ৩০টি সংগঠনের সদস্য-কর্মকর্তারা। কল্যাণ আশ্রম, টাউন ক্লাব, ডি. এস. এ. হকি টিম, মর্নিং ক্লাব, ভাষাশহিদ স্টেশন শহিদ স্মরণ সমিতি, স্বামী বিবেকানন্দ বহুমুখী বিদ্যামন্দির, লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল শিলচর, রূপম, বরাকভ্যালি ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম, এসো বলি, জয় ঠাকুর সেবা সমিতি, সারস্বত, নিক্কন, হলি চাইল্ড স্কুল, বিভাঙ্গন, গৌড়ীয় নৃত্যকলা ভারতী, আশ্বাস, দশরূপক, মণিপুরি সাহিত্য পরিষদ, প্যারামাউন্ট ইংলিশ আকাদেমি, গীতিবীথিকা সঙ্গীত বিদ্যালয়, গুরুচরণ কলেজ, নেতাজি ছাত্র যুব সংস্থা, ইচ্ছেডানা, স্মাইল এনজিও, শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা, নবারুণ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা, নৃত্যালয়ম, ছন্দে ছন্দে মিউজিক আকাদেমি ও গণসুর।
ব্যানার না নিয়েও বহু সংস্থার পদাধিকারীদের শোভাযাত্রায় সামিল হতে দেখা গিয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ, সমকাল, কথা বাকশিল্প চর্চা কেন্দ্র ইত্যাদি।
তবে বড় কোনও রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী বা জনপ্রতিনিধিদের এ দিন দেখা যায়নি। ছিল না পথচলার সূচনার নামে তেমন কোনও আনুষ্ঠানিকতাও। শহরের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে শোভাযাত্রা শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সামনে থেকে সেন্ট্রাল রোড ধরে এগিয়ে যায় প্রেমতলা, অম্বিকাপট্টি, চার্চ রোড, শ্যামাপ্রসাদ রোড হয়ে গান্ধীবাগের সামনে দিয়ে। বঙ্গভবনে গিয়ে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে এর সমাপ্তি ঘটে।
শোভাযাত্রায় ছিল তিনখানা ট্যাবলো। শুরুতে প্রথম ট্যাবলোতে শুক্কুর আলির সানাইবাদনেই এই উদ্যোগ ভিন্ন মাত্রা পেয়ে যায়। তাঁকে তবলায় সহযোগিতা করেন দিবাকর দাস।হারমোনিয়ামে ছিলেন মনোরঞ্জন মালাকার। একটি ট্যাবলো ছিল জেলা ক্রীড়া সংস্থার, সেখানে তাদের সাংস্কৃতিক শাখার শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন। একটি ছিল নাহাটা টেক্সটাইলের। ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুন্দর ভাবে সজ্জিত ছিল সেটি।
সারা পথ অংশগ্রহণকারীদের কেউ গান গেয়েছেন, কেউ করেছেন নৃত্য, সামনে-পেছনে মাইকে শোনা গিয়েছে বেশকিছু আবৃত্তি। মুখে মুখে ছিল “শুভ নববর্ষ”।