NE UpdatesHappeningsBreaking News
ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই যুবক পুলিশের গুলিতে হত
ওয়েটুবরাক, ১৭ মার্চ: গুয়াহাটির গাড়িগাঁও এলাকায় কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বিকি আলি পুলিশের হাত থেকে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছে। আরেক ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত রাজেশ মুণ্ডাও একই দিনে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে। এ ক্ষেত্রেও পুলিশ জানিয়েছে, পালাতে চেয়েছিল অভিযুক্ত মুণ্ডা।
কামরূপ জেলার দামপুরে পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা বিকিকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বাকি চার অভিযুক্ত ফয়জুল আলি, পিঙ্কু আলি, পোনা আলি ও রাজা আলির সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, মঙ্গলবার রাতে ঘটনা পুনর্নির্মাণ করতে গড়চুকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। তখনই এক মহিলা কনস্টেবলকে আক্রমণ করে পালানোর চেষ্টা করে বিকি। পুলিশ তাকে গুলি করে। চারটি গুলি লাগে বিকির গায়ে। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ ছিল, বিকি পূর্ব পরিচিত কিশোরীকে ১৬ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ করে। বাকি বন্ধুরা সেই ভিডিয়ো তোলে। পরে ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে ফের মেয়েটিকে গুয়াহাটির হোটেলে ১৯ ফেব্রুয়ারি গণধর্ষণ করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের সাত আত্মীয় ও বন্ধুকে আটক করেছিল।
বিকির মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ছেলে অন্যায় করেছে বুঝে সাজা মাথা পেতে নিতে তৈরি ছিল। কিন্তু পুলিশ আইনত সাজা পাওয়ার সুযোগই দিল না। তার আগেই পরিকল্পিতভাবে গুলি করে মারল। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে বিকির পরিবার।
অন্য দিকে ১১ মার্চ মাজবাটের ধনশ্রী চা বাগানের শ্মশানে উদ্ধার হয়েছিল সাত বছরের রীনা মুণ্ডার মৃতদেহ। ময়নাতদন্তে জানা যায়, ধর্ষণ করে তাকে হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত রাজেশ মুণ্ডাকে মঙ্গলবার রাতে ধরেছিল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিধানসভায় বলেন, এনকাউন্টার কেউ সমর্থন করে না। কিন্তু কোনও ধর্ষক পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলে আমরা ধর্ষিতার পাশে দাঁড়াবো না ধর্ষকের হয়ে চোখের জল ফেলব? তাঁর দাবি, পুলিশ কড়া ভূমিকা নেওয়ার ফলেই রাজ্যে অপরাধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।