NE UpdatesHappeningsBreaking News
ত্রিপুরায় রাজনৈতিক সন্ত্রাস, বাম-কংগ্রেসের সাংসদরা দেখা করলেন রাজ্যপালের সঙ্গে
ওয়েটুবরাক, ১২ মার্চ: ত্রিপুরায় আইনের শাসন নেই। বেপরোয়া দুর্বৃত্তরাজ চলছে। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এমনই অভিযোগ করল বাম এবং কংগ্রেসের সংসদীয় দল। ত্রিপুরার এই পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে সরব হওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক প্রচার চালানোর কথা জানালেন তাঁরা। রাজ্যের অরাজকতার পরিস্থিতির জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে আঙ্গুল তুলেছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব।
শনিবার বাম-কংগ্রেসের সাত সাংসদ এবং রাজ্যের শীর্ষ নেতারা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন। এই দলে বাম সাংসদ পি আর নটরাজন, এলামারম করিম, বিকাশ ভট্টাচার্য, এ এ রহিম, বিনয় বিশ্বমদের পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে সাংসদ রঞ্জিতা রঞ্জন এবং আব্দুল খালিক উপস্থিত ছিলেন৷ ছিলেন এআইসিসি নেতা অজয় কুমার, জারিতা লাইফ্রাং, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহ, বিধায়ক গোপাল রায়, প্রাক্তন বিধায়ক আশিস কুমার সাহা এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাতে তাঁরা কী দেখেছেন এবং তাঁদেরও যে শুক্রবার রাতে হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে রাজ্যপালকে জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, ত্রিপুরায় যা চলছে সেটাকে কোনওভাবেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ বলা যেতে পারে না।
রাজভবন থেকে বেড়িয়ে এসে আগরতলায় ভুক্তভোগী কিছু মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। সাংসদ এ এ রহিম অভিযোগ করেন, ত্রিপুরায় মানুষের ওপর যে অত্যাচার ও আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে তা কোনও সভ্য দেশে ভাবা যায় না। কংগ্রেসের সাংসদ রঞ্জিতা রঞ্জন বলেন, ত্রিপুরার বর্তমান অবস্থা জঙ্গলের শাসনকেও হার মানিয়েছে। সিপিআই সাংসদ বিনয় বিশ্বম ত্রিপুরার পরিস্থিতি সংসদে তুলে ধরবেন বলে জানান। সাংসদরা ত্রিপুরায় আক্রান্ত হয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন পর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বিবৃতি পর্যন্ত দিলেন না। এলামারম করিম অভিযোগ করে বলেন, ত্রিপুরার পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। ত্রিপুরার সার্বিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরা হবে।
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বিদ্রুপ করে বলেন, ত্রিপুরায় গোমাতার ভক্তরা সাধারণ মানুষের গরু বাছুর পুড়িয়ে দিচ্ছে। বীরজিৎ সিংহের দাবি, বিজেপি রাজ্যে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে।
সত্যকে লুকোবার জন্য পুলিশের ডিজি মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে দাবি করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আক্রমণকারীদের রক্ষা করছেন।