Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ড্রাগসের পরিবহন চক্র না ভেঙে চুনোপুঁটি ধরে লাভ হবে না, বলল বিডিএফ
ওয়েটুবরাক, ১৩ জুন: আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বরাকের অবৈধ ড্রাগস ব্যবসা ও সিন্ডিকেট রাজ নিয়ে মুখ খুলেছেন এবং এসবের অবসানকল্পে ইতিমধ্যে চেকিং সহ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছেন। তার এই উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়েও কিছু প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মুখ খুলল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, অবৈধ ড্রাগস এবং সিন্ডিকেট ব্যবসার জন্য বরাকের যুবপ্রজন্মের এক বড় অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটি বরাকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই যারা ড্রাগস পাচার করে লক্ষ লক্ষ যুবকের সর্বনাশ করছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া দরকার। কিন্তু এইসব ড্রাগসের পরিবহন এবং বিপনন হয় মায়ানমার বা বার্মা থেকে এবং এর পিছনে একটি আন্তর্জাতিক চক্র সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, এই পরিবহন চক্রকে ভেঙে দিতে না পারলে স্থানীয় স্তরে কিছু দোষীদের ধরপাকড় করে কখনোই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।তাঁর বক্তব্য, দরকার হলে মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নিয়ে এই সমস্যার মূলে আঘাত হানতে হবে। অন্যথা সবটাই ‘ভষ্মে ঘি ঢালা ‘হবে।
সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে প্রদীপবাবু বলেন, কয়লা, সুপারি, বালি, পাথর, পোস্ত সহ বিভিন্ন সিন্ডিকেট ব্যবসার পিছনে লম্বা হাত রয়েছে । কিছুদিন আগে মেঘালয়ের লোকায়ুক্ত কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে বরাকের কয়লার সিন্ডিকেটের ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন এবং তাতে এক বিধায়ক, সাংসদ এবং দলীয় পদাধিকারীর জবানবন্দি নেবার ব্যাপারে সুপারিশ করেন। কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হতেই কোনও রহস্যজনক কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়।
যে সব রাঘববোয়ালের মদতে এই সিন্ডিকেট ব্যবসা চলছে, তাদের সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর জানাই রয়েছে, এই মন্তব্য করে প্রদীপবাবু বলেন, তাই তিনি যদি সত্যিই এর অবসানকল্পে আন্তরিক হোন, তবে শুধু চুনোপুঁটিদের শাস্তি না দিয়ে পর্দার আড়ালে থাকা প্রকৃত মদতকারীদের তদন্তের আওতায় আনুন৷ প্রয়োজনে বৈজ্ঞানিক লাই ডিটেকশন প্রক্রিয়া ব্যবহার করে প্রকৃত সত্য বের করুন। অন্যথায় এইসব কার্যকলাপ চলতেই থাকবে এবং সরকারি কোষাগার এভাবেই কোটি কোটি প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত হতে থাকবে।
বিডিএফের আরেক আহ্বায়ক পার্থ দাস বলেন, ইদানীং সুতারকান্দি সীমান্তে পরীক্ষণ বাড়ানো হয়েছে এবং ধরপাকড়ও করা হচ্ছে। কিন্তু কয়লা ও অন্যান্য সামগ্রীর লরিকে দিগরখাল চেকগেটে পরীক্ষণ করলে আর চেকিঙের প্রয়োজন পড়ে না৷
তাঁর অভিযোগ, দিগরখাল চেক গেটে কংগ্রেস আমলে লরিপ্রতি দশহাজার টাকা ঘুষ দিতে হত৷ বিজেপি সরকারের কার্যকালে লরিপ্রতি ২ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করা হয়৷ আসাম পুলিশ এবং জেলা পরিবহন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের প্রচ্ছন্ন মদতেই এইসব চলছে। পার্থবাবু মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এইসব অবৈধ কার্যক্রম চিরতরে বন্ধ করতে হলে মুখ্যমন্ত্রীকে সরকারি আধিকারিকদের তদন্তের আওতায় এনে দোষীদের যথোপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে৷