NE UpdatesHappeningsBreaking News
ডিলিমিটেশন : কমিশনের সিদ্ধান্তে পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া
ওয়েটুবরাক, ২৮ ডিসেম্বর : অসমে বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রগুলির সীমানা ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করছে নির্বাচন কমিশন৷ তাতে পক্ষে-বিপক্ষে মতামত প্রকাশ করেছে শাসক, বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল এবং অরাজনৈতিক নানা সংগঠন৷
২০২৩ সালের ১ জানুয়ারির পর থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত রাজ্যে প্রশাসনিক অঞ্চল সংক্রান্ত কোনও ধরণের সংযোজন বা অদলবদল না করতে রাজ্য সরকারকে বলে দিয়েছে কমিশন। অসমে বিধানসভা ও লোকসভা কেন্দ্রের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ অনেক দিন থেকেই বকেয়া। সম্প্রতি রাজ্য সরকার তাদের সম্মতি নির্বাচন কমিশনে পাঠায়। মঙ্গলবার জারি করা নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১৭০ ধারা অনুযায়ী ২০০১ সালের জনশুমারির সংখ্যার ভিত্তিতে পুনর্নির্ধারণের কাজ হবে। তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের জন্য সংরক্ষণের বিষয়টি সংবিধানের ৩৩০ ও ৩৩২ ধারা অনুয়ায়ী নির্ণয় করা হবে। পুনর্নির্ধারণকালে কমিশন বর্তমান সীমানা, প্রশাসনিক পরিকাঠামো, মূলগত বৈশিষ্ট্য, যোগাযোগের সুবিধা, জনতার সুবিধার কথা মাথায় রাখবে। খসড়া তৈরির পরে তা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গেজেটে প্রকাশ করা হবে। তার উপরে জনতা পরামর্শ ও আপত্তি জানাতে পারেন। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হবে গণশুনানি।
কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের নেতারা কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের কথায়, ২০০১ সালের জনগণনার তথ্য অনুযায়ী ২০০৭ সালে ডিলিমিটেশন কমিশন এই রিপোর্ট দাখিল করে। এর ভিত্তিতে এত বছর পরে সীমা পুনর্নির্ধারণ করা হলে তা অনৈতিক হবে৷ তাঁর কথায়, এর মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় জনবিন্যাস অনেক বদলেছে৷ আসু অবশ্য এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলেন, অনেক দিন ধরে এই ডিলিমিটেশনের জন্য দাবি করছিলেন তারা৷
বিজেপির প্রদেশ সভাপতি ভবেশ কলিতা এবং অগপ নেতা কেশব মহন্ত বলেছেন, প্রক্রিয়া মেনেই এগোতে হবে৷ এতে আপত্তি জানানো অর্থহীন। কংগ্রেস সাংসদ আব্দুল খালেক বলেন, ২০০১-র জনগণনার ভিত্তিতে ডিলিমিটেশন করা হলে তা মোটেও ন্যায়সঙ্গত হবে না।