ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়ানক র‍্যাগিঙের শিকার এক ছাত্র, ১৮ ছাত্রকে হোস্টেল থেকে বহিষ্কার

ওয়ে টু বরাক, ২৮ নভেম্বর ঃ ভয়ানক এক র‍্যাগিং-এর ঘটনার সাক্ষী হলো ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়। সিনিয়র এক ছাত্রের আক্রমণের শিকার হলো আনন্দ শর্মা নামের বাণিজ্য বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের এক ছাত্র। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে আদিত্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মেরুদণ্ড ও মাথায় আঘাত পেয়েছে ছাত্রটি। পদ্মনাথ গোহাই বরুয়া ছাত্রাবাসে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। আনন্দ শর্মার বাড়ি চরাইদেও জেলার সোনারিতে। আনন্দের মা ও বোন অভিযোগ করে বলেন, তাঁকে রাতভর মারপিট করা হয়েছে। এমনকি তার হাতে মদের বোতল ও ভাঙ ধরিয়ে সিনিয়র ছাত্ররা আনন্দের ফটো তুলে রেখেছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর হোস্টেলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাথরুমে পড়ে সে জখম হয়েছে।

এদিকে, র‍্যাগিং কান্ডে জড়িত সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্মনাথ গোহাই বরুয়া ছাত্রাবাস থেকে ১৮ ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন ছাত্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে সে এখনও পলাতক। হোস্টেলের ওয়ার্ডেনকেও কড়া চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্য একটি সূত্রের খবর, রাহুল ছেত্রীর ভাই রুবুল ছেত্রীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। লেখাপানি থানার অন্তর্গত উদয়পুর কুশিয়ারবাড়িতে রাহুলের বাড়ি।

It has come to notice that a Dibrugarh University student is hurt in an alleged case of ragging. Close watch maintained & followup action coordinated with district admn. Efforts on to nab the accused, victim being provided medical care.
Appeal to students, say NO to Ragging.

— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) November 27, 2022

ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়ানক র‍্যাগিঙের ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মোট তিনজন ছাত্র সিনিয়র ছাত্রদের র‍্যাগিঙের শিকার হয়েছে। আনন্দ ছাড়াও জ্যোতিষ কুমার কলিতা ও ঊজ্জ্বল কুমার কলিতা নামের দুই ছাত্রকে একটি কক্ষে বন্ধ করে তাঁদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের উদ্ধার করে চিকিতসার পর গেস্ট হাউসে সুরক্ষার জন্য রেখেছিল। উল্লেখ্য, গত ৪ মাস ধরে এই হোস্টেলে র‍্যাগিঙের অভিযোগ রয়েছে। এ দিকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে আনন্দ শর্মার চিকিতসার যাবতীয় দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে বলে জানিয়েছে। প্রয়োজনে তাঁকে বাইরে পাঠিয়েও চিকিতসা করানো হবে।