Barak UpdatesHappeningsBreaking News
টুকলি সরবরাহের জন্য অধ্যক্ষ সাসপেন্ড হলেও পরীক্ষার্থী পাশ প্রথম-দ্বিতীয় বিভাগে
ওয়েটুবরাক, ৯ মে : এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কাছাড় কলেজে বেনজির ঘটনা ঘটেছিল৷ নিজের দুই আত্মীয়কে টুকলি সরবরাহের জন্য চাকরি থেকে সাসপেন্ড হয়েছিলেন অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থশঙ্কর নাথ৷ নিজের চেম্বারের পাশে তাদের জন্য সিক রুম তৈরি করা হয়েছিল৷ কোনও ইনভিজিলেটর রাখা হয়নি, ছিলেন এক অশিক্ষক কর্মচারী৷ তিনিই মূলত অধ্যক্ষের কাছ থেকে টুকলি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের দিচ্ছিলেন৷ ম্যাজিস্ট্রেট পরিদর্শনে গিয়ে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গোটা বিষয়টি৷ তাঁর রিপোর্টেই সাসপেনশনে যেতে হয় সিদ্ধার্থকে৷
কিন্তু বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পর সকলে বিস্মিত, যাদের কাছে টুকলি পাওয়া গিয়েছে, যারা টুকে পরীক্ষা দিচ্ছিল, তাদের শাস্তির বদলে স্বস্তিই মিলল৷ সিদ্ধার্থের ভাইপো দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেছে৷ সিক রুমে বসা আরেক পরীক্ষার্থী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ৷
অসম উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পঙ্কজ বরঠাকুর জানান, নকলে ধরা পড়লেও পরীক্ষার খাতায় এর উল্লেখ ছিল না। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকেও কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। ফলে অন্য পরীক্ষার্থীদের খাতার মতোই তাদেরগুলিরও মূল্যায়ন হয়।