NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
টিকেন্দ্রজিতের প্রয়াণদিবসে ছুটির দাবি, বিজেপি বিধায়কদের সমালোচনায় বিডিএফ
ওয়েটুবরাক, ১৪ আগস্ট : কৌশিক রাই, দীপায়ন চক্রবর্তী সহ বরাকের পাঁচ বিধায়ক মণিপুরের সংগ্রামী বীর টিকেন্দ্রজিৎ সিংয়ের মৃত্যুদিনকে আসামে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষনা করার যে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁদের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব হল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের আহ্বায়ক পার্থ দাস বলেন যে বীর টিকেন্দ্রজিৎ কে সারা দেশবাসীর সাথে বরাকের মানুষও শ্রদ্ধা করেন। তার অসীম সাহস ও বীরত্বগাথা আমাদের আজো অনুপ্রাণিত করে। কিন্ত এই ব্যাপারে বরাকের বিধায়কদের এই উদ্যোগ সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও সেজন্যই বিতর্কিত। এটা করা হয়েছে একমাত্র তাদের ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে । তিনি বলেন বীর টিকেন্দ্রজিৎ এর মৃত্যুদিবস অবশ্যই পালিত হোক কিন্তু তার সাথে বরাকের সাথে সম্পৃক্ত বর্তমান ডিমা হাসাও জেলা তথা আসামের স্বাধীনতা সংগ্রামী শম্ভুধন ফাংলোর মৃত্যুদিবস কেন এই রাজ্যে ছুটিদিবস হিসেবে ঘোষিত হবেনা ? কারণ শম্ভুধন কিন্তু তৎকালীন কাছারি রাজ্যকে বৃটিশ শাসনের অধীনস্থ হওয়ার বিরুদ্ধে মরণপন করেছিলেন যে কাছাড়ি রাজ্যের পরিধিতে বর্তমান বরাকও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
একই ভাবে স্থানীয় বিষ্ণুপ্রিয়া ভাষার অধিকারের দাবিতে ভাষা শহিদ অগ্নিকন্যা সুদেষ্ণা সিংহের মৃত্যুদিবস কেন সম্মান পাবেনা ? তিনি বলেন যে এইসব বিধায়কদের যদি বিন্দুমাত্র চক্ষুলজ্জা থাকে তবে অবিলম্বে এই দুটি দাবি মূখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করে তাদের দায়বদ্ধতার প্রমান দিন। অন্যথা তাদের কুমতলব নিয়ে জনমনে কোন সন্দেহ থাকবেনা।
ফ্রন্টের আরেক আহ্বায়ক জহর তারণ বলেন যে আসামের বাইরের কোন সংগ্রামীর মৃত্যুদিবস যদি সরকারিভাবে এখানে পালিত হতে হয় তবে শহীদ ক্ষুদিরামের মৃত্যুদিবসই বা পালিত হবেনা কেন ? তিনি বলেন যেদিন এই চিঠিটি পাঠানো হয়েছে সেদিনই সারা বরাকবাসী শ্রদ্ধার সাথে ক্ষুদিরামের মৃত্যুদিবস পালন করছিলেন। এইসব বিধায়কদের কি সেসব চোখ এড়িয়ে যায় নাকি তারা ইচ্ছাকৃতভাবে চোখ বন্ধ করে থাকেন ?তিনি বলেন কৌশিক রায়ের অতিরিক্ত মনিপুরী প্রীতির পেছনে অন্য গূঢ় কারণও থাকতে পারে,এরকম কানাঘোষাও শোনা যায়।তিনি আরো বলেন যে তাদের একইসাথে তাহলে কনকলতা সহ আসামের সংগ্রামী শহিদদের মৃত্যুদিবস পালন করার জন্য মনিপুর সরকারকেও অনুরোধ জানান উচিত বলে আমি মনে করি।
বিডিএফ এর কাটিগড়া কমিটির আহ্বায়ক সুরজিৎ পাল এই প্রসঙ্গে বলেন যে ১৯ মের দিনটিকে বরাক তথা আসামে ভাষাশহিদ দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ছুটিদিবস ঘোষনা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে বরাকবাসী দাবি জানিয়ে আসছেন, কিন্তু সরকারি তরফে এখনো কোন সাড়া মেলেনি। শুধু বরাকের স্কুল কলেজের জন্য ‘অবসারভেন্স ডে’ হিসেবে এটি পালিত হবার সরকারি অনুমতি লব্ধ হয়েছে। সুরজিৎবাবু বলেন যে এইসব বিধায়কের যদি সামান্য হলেও বরাকের প্রতি দরদ থাকে তাহলে ব্যাক্তিস্বার্থ একটু বাদ দিয়ে তারা এটার জন্য মূখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করুন। তাহলে অন্ততঃ তাদের ভোটারদের প্রতি তাদের দায়িত্ব কিছুটা পালিত হবে। ‘আমরা এই ব্যাপারটিও আগামীতে খেয়াল রাখব’- বলে মন্তব্য করেন তিনি।