NE UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking News
জিগ্নেসকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠাল বরপেটা আদালত
ওয়েটুবরাক, ২৭ এপ্রিল: বরপেটার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত গুজরাটের নির্দল বিধায়ক তথা দলিত নেতা জিগ্নেশ মেবাণীর জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। তাকে পাঁচদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে ‘গডসের উপাসক’ বলা ও গুজরাটে সংঘর্ষস্থলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শান্তির আহ্বান জানানোয় জিগ্নেশের বিরুদ্ধে কোকরাঝাড়ে এফআইআর করেছিলেন বড়োল্যান্ড স্বশাসিত পরিষদের সদস্য অরূপকুমার দে। তার জেরেই জিগ্নেশকে গুজরাট থেকে গ্রেফতার করে আনে অসম পুলিশ। সোমবার কোকরাঝাড় আদালত জিগ্নেশকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়। কিন্তু তার পরেই এক মহিলা সাব ইনস্পেক্টরের শ্লীলতাহানির চেষ্টার মামলায় বরপেটা পুলিশ জিগ্নেশকে গ্রেফতার করে। ওই এসআই এফআইআরে দাবি করেন, গুয়াহাটি থেকে জিগ্নেশের সঙ্গে কোকরাঝাড়ে আসা পুলিশ অফিসারদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। বরপেটা এলাকা পার করার সময় তাঁর উদ্দেশ্যে জিগ্নেশ অশালীন মন্তব্য করেন, শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন এবং হেনস্থা করেন।
আসাম প্রদেশ কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে রাজ্যপাল জগদীশ মুখীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তিনি দেখা করেননি। এরা সোশ্যাল মিডিয়ায় জিগ্নেশের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। কংগ্রেস সাংসদ শশী তরুর টুইট করেন, অসমে বিচারব্যবস্থার রাজনৈতিক অপব্যবহার নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। দেশের গণতন্ত্রে একটি সামান্য টুইটের জন্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে এ ভাবে কারাবন্দি রাখা ও জামিন পাওয়ার পরে সাজানো মামলায় ফের গ্রেফতার করার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক! নাগমা টুইট করেন, এটি স্পষ্টই নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ওঠা আওয়াজ দাবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। আমরা চুপ করে বসে থাকব না। ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। কেরল কংগ্রেস লেখে, বিজেপি আইন ও গণতন্ত্রকে বারবার প্রহসনে পরিণত করছে। সারা দেশের জনতাকে এই জঙ্গলরাজের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে।