NE UpdatesBarak UpdatesHappenings
জনতার চাপে মেঘালয়ে পদ ধরতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালকও
ওয়েটুবরাক, ২৭ ফেব্রুয়ারি : জনতার আন্দোলনের চাপে মুখ্যমন্ত্রীর শ্যালক রাকেশ এ সাংমাকে মেঘালয়ের গারো পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যর্বাহী সদস্য (সিইএম) পদ ছেড়ে দিতে হচ্ছে৷ আগামীকাল সোমবার তিনি পদত্যাগ করবেন বলে এনপিপি-র এক সূত্র জানিয়েছেন৷ সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা না হলেও এনপিপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে এ ব্যাপারে রবিবার এমন সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়৷
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি জানান, নতুন সিইএমের নামও পাকা হয়েছে এ দিন৷ আলবিনুস মারাকের দায়িত্বগ্রহণ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা ৷ রাকেশের জনজাতি পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে একাংশ জনতা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন৷ তাঁদের বক্তব্য, তিনি আদৌ গারো জনজাতি সম্প্রদায়ের নন৷ তাঁর মা গারো হলেও বাবা নেপালি৷ রাকেশরা নেপালি সংস্কৃতিই লালন করেন৷ স্কুল-কলেজে তাঁর নাম ছিল রাকেশ নেওয়ার৷ রাজনীতিতে এসে হলফনামা দিয়ে রাকেশ এ সাংমা নাম লেখায়৷ তাঁদের কথায়, এমন মানুষ পার্বত্য পরিষদের সিইএম পদে থাকতে পারেন না৷ তাঁকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রী কনরাড এ সাংমার সামনে গত চারদিনে দুইবার বিক্ষোভ দেখানো হয়৷
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী আমপাতিতে এক স্টেডিয়াম উদ্বোধনে গিয়েছিলেন৷ ক্ষুব্ধ জনতা অনুষ্ঠানস্থলে তাঁকে কালো পতাকা দেখায়৷ শনিবারও তাঁর কনভয়ের সামনে কালো পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন প্রচুর মানুষ৷ পুলিশ ঘিরে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িকে নির্বিঘ্নে যেতে দেয়৷
তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমা রাকেশের সিইএম হওয়া নিয়েই প্রশ্ন তোলেন৷ তিনি মুখ্যমন্ত্রী কনরাড এ সাংমাকে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেন৷ বলেন, কনরাড ক্ষমতাপাগল৷ তাই নিজের শ্যালক রাকেশকে ওই চেয়ারে বসিয়েছেন৷
স্থানীয় এনপিপি বিধায়ক মারকোজ এন মারাক এই ইস্যুতে দলীয় ভাবমূর্তিতে আঘাত লাগার আশঙ্কা উড়িয়ে দেন৷ বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাকেশ সাংমাকে সরানোর দাবি করা হচ্ছে৷ তাঁর দাবি, পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাকেশকে মনোনীত করা হয়েছে৷ সবাই চেয়েছেন বলেই তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন৷ তিনি মুকুল সাংমাকে পাল্টা দোষারোপ করে বলেন, এই ভাবে তৃণমূল পা রাখার জমি খুঁজে পাবে ভাবলে ভুল করা হবে৷ এ দিকে, বিজেপি মেঘালয়ে এনপিপি জোটের শরিক হয়েও রাকেশ অপসারণের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছে৷