Barak UpdatesIndia & World UpdatesBreaking News

চিনের সাহায্যে মায়ানমারের বিদ্রোহীদের আফিম চাষ, ভুগছে বরাক, উদ্বেগে ডিজিপিও

২৩ ফেব্রুয়ারি: আফিমের সাম্রাজ্য দখল নিয়ে লড়াই চিন আর মায়ানমারের৷ চিনের সাহায্যেই মায়ানমারের বিদ্রোহীরা সীমান্ত এলাকায় আফিম চাষ করে৷ তা থেকেই হয় হেরোইন, ব্রাউন সুগার৷ আর এ নিয়েই  এখন যন্ত্রণাকাতর অসমের বরাক উপত্যকা৷ তরুণ প্রজন্মের এক বড় অংশ ধ্বংসের পথে৷

এ নিয়েই উদ্বেগে স্থানীয় জনতা৷ চিন্তায় পুলিশ, বিএসএফ-ও৷ নেশার অর্থ জোগাতে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই৷ কী করে তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, এই প্রশ্ন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে পুলিশকর্তাদের৷ ভাবাচ্ছে রাজ্যের পুলিশ প্রধান ভাস্করজ্যোতি মহন্তকেও৷ দায়িত্ব নেওয়ার দেড়মাসের মাথায় তিনি শনিবার ছুটে এসেছেন বরাক উপত্যকায়৷

এই অঞ্চলের সঙ্গে সীমা রয়েছে মণিপুর, মিজোরামের৷ সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশেরও৷ বাংলাদেশেই মায়ানমারের মাদকের বিরাট চাহিদা৷ সে দেশে পাচারে ২০-৩০ গুণ মুনাফা মেলে৷ কখনও ৬০-৭০ গুণ ছাড়িয়ে যায়৷ এমন বিশাল বাজার কে আর ছাড়ে! ছাড়তে নারাজ মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীও৷ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য অর্থ জোগানের এ-ই যে বড় উৎস৷ বিশাল অঞ্চল জুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ চিনও ছাড়তে চায়নি৷ তাদের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে মায়ানমারের শান প্রদেশ৷ ইউনানে চিনা রক্ষীরা দাঁড়িয়ে থেকে শান প্রদেশে আফিম চাষে সুরক্ষা দেয়৷

মুশকিলটা হল, মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে বরাকঘেষা মণিপুর ও মিজোরামের৷ ওই দুই রাজ্য হয়ে হেরোইন, ব্রাউন সুগার, ইয়াবা ট্যাবলেটের মত মাদকদ্রব্য বরাকে ঢোকে৷ গন্তব্য বাংলাদেশ৷ আর এই করিডর নিয়েই যত যন্ত্রণা এখানে৷ ব্যবসার প্রয়োজনে মাদক চোরাকারবারিরা এখানেও এজেন্ট তৈরি করে৷ এরাই মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দিতে৷

রাজ্যের পুলিশ প্রধান শনিবার তিন জেলার এসপিদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন৷ কথা বলেন বিএসএফ কর্তাদের সঙ্গেও৷ তিনি স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গেও মিলিত হন৷ ডিজিপি মহন্ত খোলামেলা বলেন, ধরপাকড় কম হচ্ছে না৷ কিন্তু এরা তো শুধুই এজেন্ট৷ বড় মাথাদের নাগাল পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker