Barak UpdatesHappenings
চিত্তরঞ্জন অ্যাভেন্যুতে দুর্গন্ধে জীবন বিপন্ন, ডিসির দ্বারস্থ প্রবীণ নাগরিকরা
২৫ জুলাইঃ দিনের পর দিন সঞ্চিত জঞ্জালের দুর্গন্ধে জনজীবন বিপন্ন। পুরসভার যেন অস্তিত্বই নেই। শিলচর শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন অ্যাভিন্যু অঞ্চলের বাসিন্দাদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে মুক্তির আশায় কাছাড়ের ডেপুটি কমিশনারের শরণাপন্ন হয়েছেন প্রবীণ নাগরিক মঞ্চ।
সাউথ পয়েন্ট স্কুল সংলগ্ন কালভার্টের কাছেই রয়েছে জঞ্জালের স্তুপ। দিনের পর দিন সঞ্চিত জঞ্জালের দুর্গন্ধে জনজীবন বিপন্ন। কিছু, গরু, কুকুর আর কাক হল আশা ভরসা। পৌরসভার যেন অস্তিত্ব নেই। শিলচর শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের চিত্তরঞ্জন এভিনিউ অঞ্চলের বাসিন্দাদের দুর্গন্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে মুক্তির আশায় কাছাড়ের ডেপুটি কমিশনারের স্মরণাপন্ন হয়েছেন প্রবীণ নাগরিক মঞ্চ।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের নিকটে কালভার্টের কাছেই রয়েছে সঞ্চিত জঞ্জালের স্তুপ। অন্যদিকে রয়েছে একাদশ শহিদ বেদী। পথচারীরা নাজেহাল, বাসিন্দারা করোনা পর্বেও এই অবস্থায় উদ্বেগে। প্রবীণ নাগরিক মঞ্চের পক্ষে ভাইস চেয়ারম্যান নীহারেন্দু পুরকায়স্থ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দিলীপ কুমার দে জানান, পুরসভার কার্যবাহী অফিসার তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সাত্তাওয়ানকে তাঁরা যোগাযোগ করতেই পারছেন না। তাই তারা জেলাশাসকের শরণাপন্ন।
এই প্রসঙ্গে এই প্রবীণরা বলেন, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি গলি থেকে ঠেলাগাড়ি দিয়ে বাড়ির আবর্জনা এনে পুরসভার বড় ডাস্টবিনে ফেলে এটিকে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত করা হয়েছে। এমনকি ন্যাশনাল হাইওয়ে বাজারের একাংশের বর্জ্যও সেখানে ফেলা হয়। পুরসভার এই বাজারে কোন জঞ্জাল ফেলার পাত্র নেই। অথচ এই বাজার থেকে ট্যাক্স বা ‘তোলা’ নিয়মিত সংগ্রহ হয়ে থাকে। তাঁদের আরও অভিযোগ, রাস্তার পাশে প্রকাশ্যে পাঠা, ছাগল, হাঁস, মুরগি কাটা হয় অবলীলায়। উল্টো দিকে শিব মন্দির। সারা রাস্তা দুর্গন্ধযুক্ত। বাজার আছে, বর্জ্য পদার্থ সাফ করে নেবার ব্যবস্থা নেই।
তাঁরা বলেন, নিউ শিলচরের মানুষ ‘আরবান ওয়াটার এন্ড সুয়ারেজ বোর্ড’-র জল নিয়েও নানা সমস্যায়। বোর্ড জল দেয় বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে। জল আসুক বা না আসুক কানেকশন নিলেই মাসে ন্যূনতম তিনশ টাকা দিতেই হয়। জল এলে মিটারে পরিবার পিছু চারশ থেকে নয়শ টাকা গুনতে হয়। তা আবার ওদের অফিসে গিয়ে লাইন দিয়ে নগদ জমা দেওয়া চাই, ব্যাঙ্কের চেক বা ইলেকট্রনিক ট্র্যান্সফার চলে না। জনপ্রতিনিধিদের এদিকে কোন খেয়াল নেই বলে তারা ক্ষোভ ব্যক্ত করেন।