NE UpdatesBarak Updates
চন্দ্রযানে জড়িত রাজীবকে নিয়ে মাতোয়ারা পয়লাপুল নবোদয়ের প্রাক্তনীরা
আসলে ঘরের ছেলে হিদম রাজীব সিংহ এই অভিযানে জড়িয়ে রয়েছেন। যে সলিড রকেট প্রপেলান্ট ৩ হাজার ৮৫০ কেজি ওজনের যানটিকে লাফাতে সাহায্য করে, তাতে উত্তর-পূর্বের ছেলেটির হাতের ছোঁয়া লেগে আছে। আর শ্রীহরিকোটার যে সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান-২ উতক্ষিপ্ত হয়েছে, সেই সেন্টারেই কাজ করেন রাজীব।
জিরিবামে বাড়ি। বাবা হিদম ইন্দ্রকুমার সিংহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মা সানা হান্ডি দেবী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। তারা তিন ভাই। পড়াশোনা কাছাড়ের পয়লাপুলে। ১৯৯৬ সালে ভর্তি হয়েছিলেন জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ে। ২০০৩ সালে সেখান থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন।
এখনও তাঁর স্কুলজীবনের স্মৃতি বেশ তাজা। এর বড় কারণ পয়লাপুল নবোদয় প্রাক্তনী সংস্থা। তাঁরা সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করে। এরাই এখন ইসরো-র রাজীবকে নিয়ে মাতোয়ারা। বিপুল সংবর্ধনার জন্য প্রস্তুতি চলছে। প্রাক্তনীদের সভাপতি এইচএম বজলুন নুর জানালেন, ‘ও একবার সময় বের করে আসতে পারলেই হল। আমরা অপেক্ষায়। নবোদয়েই হবে সে অনুষ্ঠান। বর্তমান ছাত্ররা অনুপ্রাণিত হবে।’ তিনসুকিয়া জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক বিক্রম কৈরিও পয়লাপুল নবোদয়ের প্রাক্তনী। বললেন, ‘স্কুলে পড়ার সময়েই রাজীবদাকে দেখে মনে হতো, বড় কিছু হবেন।’
রাজীব অবশ্য বড় হয়ে গিয়েছেন, তা মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, ২০০৭ সালে গুয়াহাটির আসাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বেরিয়েছেন। কিছুদিন কাজ করেন হিন্দুস্তান জিঙ্ক লিমিটেডে। এর কিছুদিনের মধ্যে ইসরো-তে সুযোগ পেয়ে যান। তিনি জানান, ‘পদ-পদবী যাই থাক, বিজ্ঞানী হওয়া খুব কঠিন। ফলে কর্মীই আমি।’
রাজীব না বললেও এরই মধ্যে তিনি সকলের নজর কেড়ে নিয়েছেন। নইলে মঙ্গলযানের পর ৯৭৮ কোটি টাকার চন্দ্র অভিযানে জড়িয়ে পড়তেন না। এ বারও বিনয়ের সুর রাজীবের গলায়। বললেন, মঙ্গলযান বা চন্দ্রযান— এই ধরনের অভিযানে প্রচুর মানুষের প্রয়োজন। বিশাল টিমওয়ার্ক। কেউ এককভাবে কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন না, করেনও না।
তবু রাজীব সিংহের সূত্র ধরেই কৃতিত্বের দাবিদার হয়ে উঠেছে জিরিবাম, কাছাড়, গুয়াহাটি সহ গোটা উত্তর-পূর্ব। এখন একটাই লক্ষ্য, কবে চন্দ্রযান-২ চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছাবে!