Barak UpdatesHappeningsBreaking News
গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট : রাজ্য সরকার, জেলা প্রশাসনের স্পষ্টীকরণ চায় সমন্বয় কমিটি
ওয়েটুবরাক, ৪ জুন : গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট নিয়ে শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায় ও প্রাক্তন বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালা শুক্রবার অন্তঃসারশূন্য বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন বলে অভিযোগ করেছে ডলু চা বাগান বাঁচাও সমন্বয় কমিটি। তাদের অভিযোগ, ডলু চা বাগানে প্রস্তাবিত গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর স্থাপনের কোনও প্রস্তাব রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অসামরিক বিমান পরিবহন বিভাগের কাছে না পাঠানোর তথ্য ডলু চা বাগান বাঁচাও সমন্বয় কমিটি সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরার পর তা ভুল প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তাঁরা৷ অথচ বিমানবন্দর নির্মাণের নামে ডলু চা-বাগানের জৈব বৈচিত্র্য ধ্বংসের দায়িত্ব নিয়েছিল যে সরকার ও জেলা প্রশাসন, তাদের কাছেই কমিটি স্পষ্টীকরণ চেয়েছিল৷ কিন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি প্রকাশিত না হওয়াতে এটা প্রমাণিত হয় যে, তারা বৃহৎ ব্যবসায়ীদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার কাজে মদত দিয়েছে।
কমিটির পক্ষ থেকে এও বলা হয়, শাসক দলের সাংসদ হয়েও ডা. রায় ভারত সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহন বিভাগের সর্বশেষ গাইডলাইন অনুসারে কোনও ডকুমেন্ট সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেননি। দুই রাজদীপ যে সব কাগজ তুলে ধরেছেন, সবগুলোই পুরনো এবং কোথাও অসামরিক বিমান পরিবহন বিভাগের পক্ষ থেকে ডলুতে বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনার উল্লেখ নেই। এছাড়াও অফিসিয়ালি যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন সেটাও দেখাতে পারেননি।
ডলু চা বাগান বাঁচাও সমন্বয় কমিটির বক্তব্য, বিমানবন্দর তৈরি করা হোক কিন্তু তা চা শিল্পকে ধ্বংস করে নয়। জেলার পতিত জমিতে প্রস্তাবিত গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর তৈরির পক্ষেই তারা৷ তাই তাদের ‘উন্নয়ন বিরোধী’ তকমা দেওয়া হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন কমিটির কর্মকর্তারা। তাদের কথায়, বিজেপি নেতারা নিজেদের উন্নয়নের ভাগীরথ বললেও জনগণ জানেন, তাদের শাসনকালে বরাকের একমাত্র ভারী শিল্প কাছাড় কাগজ কলে এখন ঘু ঘু চড়ছে, মহাসড়কের কাজ এখনও অসমাপ্ত। করিমগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ, শিলচর সিভিল হাসপাতালকে তিন’শ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করা, শিলচরে উড়ালপুল নির্মাণ, লজিস্টিক পার্ক তৈরি ইত্যাদি কথা জনগণকে শোনানো হলেও একটিও বাস্তববায়ন হয়নি। কমিটির পক্ষ থেকে এও বলা হয়, চুপিসারে চুক্তি গোপন রাখার শর্তে তিনটি শ্রমিক বিরোধী শ্রমিক সংগঠনের সাথে ডলু চা বাগানের মালিকের চুক্তি করিয়ে জমি দখলের যে চেষ্টা হয়েছিল তা ব্যর্থ হতে চলেছে দেখে এঁরা আবোল তাবোল বকে যাচ্ছেন ৷ কমিটির পক্ষ থেকে এও বলা হয়, শাসক দলের ভাষায় ‘আন্দোলনজীবী’ হলেও তারা জেলার চা শিল্পকে ধ্বংস না করে বিমানবন্দর তৈরির দাবিতে গণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।