Barak UpdatesHappeningsBreaking News
গুয়াহাটিতে বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের অভিবৰ্তন
ওয়েটুবরাক, ১৭ ডিসেম্বর : অল আসাম ইলেকট্ৰিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে শনিবার গুয়াহাটির লক্ষীরাম বরুয়া সদনে বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের এক অভিবৰ্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ বরাক উপত্যকা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে দুই শতাধিক প্ৰতিনিধি উপস্থিত হয়।
অস্বাভাবিক হারে বর্ধিত বিদ্যুৎ বিল প্রদান বন্ধ করা, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার বেসরকারীকরণ বন্ধ করা, বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল, ২০২০ ও প্ৰিপেইড মিটার প্রতিস্থাপন বাতিল করা সহ বিদ্যুৎ খন্ডের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবি ওঠে অভিবৰ্তনে ৷ তাতে আমন্ত্ৰিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজকৰ্মী বিমল দাস, বিদ্যুৎ কৰ্মচারী আন্দোলনের নেতা দীপক কুমার সাহা এবং মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অল ইন্ডিয়া ইলেকট্ৰিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন কাৰ্যকরী সভাপতি রমেশ পরাশর।
বিশিষ্ট সমাজকৰ্মী অজিত আচাৰ্যের সভাপতিত্বে পরিচালিত অভিবৰ্তনের শুরুতে জনবিরোধী বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল, ২০২২ বাতিল সহ বিদ্যুতের অন্যান্য সমস্যা সমাধানের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী গণ আন্দোলন গড়ে তোলার প্ৰস্তাব উপস্থাপন করেন অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম আহ্বায়ক অজয় আচাৰ্য এবং উত্থাপিত প্রস্তাব সমৰ্থন করে বক্তব্য রাখেন অল আসাম ইলেকট্ৰিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন’র অন্যতম আহ্বায়ক হিল্লোল ভট্টাচার্য। অভিবর্তনে বিশিষ্ট সমাজকর্মী বিমল দাস বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ সাধারণ গ্ৰাহকদের স্বাৰ্থের পরিপন্থী কাজ করছে। তিনি এও বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের ঘাটতি মেটাতে এর বোঝা সাধারণ গ্ৰাহকদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
অল ইন্ডিয়া ইলেকট্ৰিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাৰ্যকরী সভাপতি রমেশ পরাশর তাঁর বক্তব্যে বলেন, কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকার বিদ্যুৎকে ক্ৰমাগত অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার পরিবর্তে লাভজনক পণ্যে রূপান্তরিত করতে দেশি বিদেশি পুঁজিপতিদের হাতে বিদ্যুৎ খণ্ডকে তুলে দিতে চাইছে। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কেন্দ্র সরকার বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল, ২০২২ সংসদে গৃহীত করতে চাইছে। তিনি বলেন, সরকারের এই চক্ৰান্ত সফল হলে সাধারণ মানুষ বিদ্যুতের ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হবে। তিনি এর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অভিবৰ্তনে দীপক কুমার সাহা বলেন, বিদ্যুৎ যৌথ তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও এই বিল প্রনয়ণের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারের কোনও মতামত গ্রহণ না করেই রাজ্য সরকারের অধিকার খর্ব করতে চাইছে।
অভিবর্তনের মূল প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় এবং গ্রাহকদের স্বার্থে আগামীতে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অভিবর্তনে বরাক উপত্যকার তিন জেলার বিদ্যুৎ গ্ৰাহকরাও তাদের মতামত তুলে ধরেন৷