Barak UpdatesHappeningsSportsBreaking News

খেতাবের জন্য সোমবার মহামেডানের সামনে রায়েংদাই 

//দ্বিজেন্দ্রলাল দাস//

১০ নভেম্বর : ২০০৪ সালের কথা। সাই কটককে হারিয়ে ক্যাপ্টেন এন এম গুপ্ত ট্রফি দখল করেছিল কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিং। কুড়ি বছর পর আবার তারা গুপ্ত ট্রফির ফাইনালে। এবার তাদের সামনে মণিপুরের রায়েংদাই এফসি। বিপক্ষে যেই থাকুক, খেতাব দখলের জন্য তারা মরিয়া। আবার রায়েংদাইয়ের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য প্রায় এক কথা।

১৯৯৮ সালে এন এম গুপ্ত ট্রফির ফাইনালে খেলেছিল মণিপুরের দুটি দল। মণিপুরের ক্লাসা বিষেণপুরকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অ্যামোফা মণিপুর। এরপর ছয়টি আসর হলেও মণিপুরের কোনও দল ফাইনাল খেলতে পারেনি।

অন্যদিকে, ২০০৪ সালে মহামেডান স্পোর্টিং গুপ্ত ট্রফি দখল করেছিল। ফাইনালে তারা পরাস্ত করে সাই কটককে। তবে কুড়ি বছর আগের মহামেডানের সঙ্গে বর্তমান মহামেডানের ফারাক অনেকটাই। একসময় ভারতীয় ফুটবলে দাপট ছিল কলকাতার এই দলের। কলকাতার তিন প্রধানের একটি মহামেডান। এরপর গঙ্গার স্রোতে হারিয়ে যায় তাদের ফুটবল-গরিমা। সাম্প্রতিককালে তারা আবার ফিরে এসেছে স্বমহিমায়। এক এক ধাপ অতিক্রম করে মহামেডান এখন আইএসএল-এর দল। এখন চলছে আইএসএল মরশুম। তাই শিলচরে প্রথম দল পাঠায়নি মহামেডান। কিন্ত যেসব খেলোয়াড়দের তারা নিয়ে এসেছে, তাঁরা ভাষাশহিদের শহরের ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করতে সক্ষম।প্রথম ম্যাচে তারা হারাল মণিপুরের সেনাপতি এফসি-কে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। আর শনিবার তারা অমীমাংসিতভাবে ম্যাচ শেষ করে আইজল এফসির সঙ্গে। চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।

অন্যদিকে, রায়েংদাই প্রথম ম্যাচে হারাল লেনরুল এফসিকে । দ্বিতীয় ম্যাচে নর্থ ইস্ট এফসি কে হারিয়ে সবার আগে ফাইনাল খেলার ছাড়পত্র আদায় করে রায়েংদাই।

আজ সকালে ইন্ডিয়া ক্লাবের মাঠে অনুশীলন করে রায়াংদাই। একই মাঠে বিকেলে অনুশীলন করেন মহামেডানের খেলোয়াড়রা। অবশ্য কোনো দলই কঠোর অনুশীলনের পথে পা মাড়ায়নি।

এদিকে, আয়োজকরা ফ্লাডলাইটে ফাইনাল করার জন্য প্রস্তুত। আজ সন্ধ্যায় আলো জ্বালিয়েছিল ডি এস এ । দুই দলের অধিনায়ককে নিয়ে করিয়েছে ফটো সেশন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker