Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কুঁশিরাম জন্মজয়ন্তীতে সিদ্ধান্ত, বরাকে সংগঠিত হতে ডেটাবেস তৈরি করবে মতুয়া সেবা সংঘ
ওয়েটুবরাক, ৯ ফেব্রুয়ারি : বরাক মতুয়া সেবা সংঘের উদ্যোগে কুঁশিরাম নমঃশূদ্রের ১৭৩ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ধলাই অঞ্চলের পালংঘাটে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরাক উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক নাগরিক ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মণিসুন্দর রায়চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আনন্দ রায়, লালচান্দ রায়, সমীরণ রায়, শ্যামবাবু রায়, সুখলাল বিশ্বাস, রবীন্দ্র রায় প্রমুখ কুঁশীরামের জীবনের বিভিন্ন অধ্যায়ের উপর আলোকপাত করেন । শিলচর রংপুরের উপেন্দ্র নমঃশূদ্র ও বেতুকান্দি নিবাসী জয়চন্দ্রবাবু কীভাবে সৈদপুরে কুঁশিরামের মূর্তি বসিয়েছেন এর বর্ণনা করেন বক্তারা । অনুষ্ঠানটি দুটি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হয় । প্রথম পর্বে আলোচনা সভা৷ দ্বিতীয় পর্বে বিশিষ্ট সামাজিক সংগঠক মিঠুন রায় কুঁশিরাম নমঃশূদ্রর জীবনের কঠিন সংগ্ৰামের পাশাপাশি বর্তমান সামাজিক দৈন্যদশার ছবি তুলে ধরেন । তিনি সামাজিক হীনম্মন্যতা থেকে বেরিয়ে মতুয়া সমাজের উত্তরসূরীরা ফের কীভাবে নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারে, তার পন্থা নির্ধারণের আহ্বান জানান । তিনি বরাক উপত্যকার মতুয়াদের এক ছাতার নিচে আসার পরামর্শ দেন ।
বেতুকান্দি নিবাসী পিনাক রায় স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং নিয়ে সভায় বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও, এদিনের সভায় গুরুচাঁদ অনলাইন গুরুকুলের উদ্যোগে একটি স্পোকেন ইংলিশ কোর্সের সূচনা হয় ।
পরে ভবিষ্যতের কর্মপন্থা নির্ধারণে বরাক মতুয়া সেবা সংঘের উদ্যোগে “ভিশন ২০২৪ ফর নমঃশূদ্র” নামক এক অভিযানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সভা । সেই উদ্দেশ্যে ধলাই মহাদেবপুর নিবাসী মণিসুন্দর রায়চৌধুরীকে সভাপতি ও নন্দী রায়কে সম্পাদক করে এক কমিটি গঠন করা হয় । সহ-সভাপতিরা হলেন উপেন্দ্র নমঃশূদ্র, কানু রঞ্জন রায়, রবীন্দ্র রায়, শ্যামবাবু রায়, শিখা রায় । সহ-সম্পাদক কমলাকান্ত সরকার, অনুপ ভারতী ও শঙ্কু নমঃশূদ্র । কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস রায় ও সানি রায় । সদস্যরা হলেন রাজেন রায়চৌধুরী, অজিত রায়, সুদীপ বিশ্বাস, বিজয় সরকার, অমর সরকার, আশিস রায়, কাজল রায়, অরবিন্দ রায়, রিম্পা রায়, নমিতা রায়, যদুপতি রায়, পিনাক রায়, মনোজ রায়, সত্যব্রত রায়, শঙ্কু রায় ও বিক্রম রায় ।
এই কমিটি ২০২৪ সালে কুঁশিরামের জন্মের ১৭৫ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে পুরো উপত্যকা জুড়ে সার্ভের মাধ্যমে মতুয়া সমাজের ডেটাবেস তৈরি করবে। পরে এর ভিত্তিতে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার অঙ্গ হিসাবে গ্রামে গ্রামে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং দেওয়া হবে৷ মহিলা, যুবক-যুবতী তথা দরিদ্র ও আর্থিক অনগ্রসর শ্রেণীকে স্বাবলম্বী করে তোলা করা হবে ।