Barak UpdatesHappeningsCulture

কাছাড়েও লাচিত জয়ন্তীর সমাপ্তি, ১৮৩ স্কুল ২৮০ স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ফিল্টার প্রশাসনের

ওয়ে টু বরাক, ২৫ নভেম্বর : বীর লাচিত বরফুকনের ৪০০তম জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে কাছাড় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আট দিনব্যাপী বিভিন্ন কার্যসূচি শুক্রবার শেষ হয়েছে। এই সমাপ্তি অনুষ্ঠান ছিল শিলচর রাজীব ভবনে। জেলা পর্যায়ের এই সমাপ্তি অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল সাড়ে আটটায়। এতে প্রথম পর্যায়ে ছিল জেলা প্রশাসনের কার্যসূচি এবং এরপর নতুনদিল্লিতে জাতীয় পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী বীর লাচিতের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জায়েন্ট স্ক্রিনে সম্প্রচার করে দেখানো হয়।

জেলা পর্যায়ের কেন্দ্রীয় সমাপনী অনুষ্ঠানে কাছাড়ের জেলাশাসক রোহন কুমার ঝা বক্তব্য পেশ করে বলেন, জেলার ১৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২৮০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং সেন্ট্রাল জেলে ২০টি জলের ফিল্টার প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া জেলা উন্নয়ন কমিশনার রাজীব রায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক পঙ্কজ কুমার ডেকা, দীপক জিডুং, যুবরাজ বরঠাকুর এবং জেলা পরিষদ সভাপতি অমিতাভ রাই  প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন। জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক এবং স্বাস্থ্য বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, ছাত্র-ছাত্রী এবং সর্বস্তরের জনগণ এতে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বীর লাচিত বরফুকনের ৪০০তম জন্মজয়ন্তী পালন উপলক্ষে  জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কাছাড় জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে লাচিত বরফুকনের ওপর রচনা, কুইজ, অঙ্কনের যে প্রতিযোগিতা হয়েছিল, তার পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এলপি স্কুল স্তরের রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম রাসবিহারী জুনিয়র বেসিক স্কুলের জয়দীপ সেন, দ্বিতীয় পশ্চিম নাজাতপুর এলপি স্কুলের সাবিনা বেগম এবং তৃতীয় চম্পাটিলা এলপি স্কুলের মামন দাসকে ৩ হাজার, ২ হাজার এবং ১ হাজার টাকা  এবং শংসাপত্র তাদের হাতে তুলে ধরা হয়।

একইভাবে উচ্চ প্রাথমিক স্তরের প্রতিযোগিতায় প্রথম শরিফুল আলম লস্কর, দ্বিতীয় মৃদুল দাস এবং তৃতীয় রমজানা খানম চৌধুরী পুরস্কৃত হন। তাদের যথাক্রমে ৫ হাজার, ৩ হাজার এবং ১ হাজার টাকা শংসাপত্র হাতে তুলে ধরা হয়। হাইস্কুল স্তরে ১০ হাজার, ৫ হাজার এবং ৩ হাজার টাকা/শংসাপত্র পেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী, প্রণব বৈষ্ণব এবং মুন্না দাস। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ১৫ হাজার, ১০ হাজার এবং ৫ হাজার টাকা করে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন অঞ্জু বৈষ্ণব, নিশা আচার্য এবং অভিষেক রী।

কুইজ প্রতিযোগিতায় যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছেন  বনশ্রী দে ও ডোনা চৌধুরী, দ্বিতীয় যুগ্মভাবে আহমেদ সাইর চৌধুরী ও প্রাণতোষ দাস, তৃতীয় হয়েছেন নিকিতা তিওয়ারি ও দেবশ্রী দত্ত। অঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম মৌসুমী বড়ভূঁইয়া, দ্বিতীয় বিশাল মন্ডল এবং তৃতীয় টি এইচ লিংথিবা সিংহ।

অনুষ্ঠানে জেলার ৮টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে পানীয় জলের ফিল্টার তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া যেসব স্কুলে এই ফিল্টার তুলে দেওয়া হয় সেগুলি হচ্ছে শিলচরের ডিএনএনকে হাইস্কুল, জগাইমথুরা হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, জেসি গার্লস হাইস্কুল, স্বর্ণলক্ষী হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, হরিনগর অসমিয়া হাইস্কুল, পপুলার হাইস্কুল, সোনাই এনজি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল এবং সিদ্ধেশ্বর হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker