Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কলেজ রোডে উচ্ছেদ, গুড়িয়ে দেওয়া হল জবরদখলে থাকা বাড়ি-দোকান
ওয়ে টু বরাক, ১৯ মার্চ : জমা জলের করাল গ্রাস থেকে জনগণকে রেহাই দিতে রবিবার কলেজ রোড এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। কলেজ রোড শনি মন্দির এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে সুভাষ নগর এলাকার পয়েন্ট পর্যন্ত চলে এই অভিযান।
পুলিশ, সিআরপিএফ বাহিনী সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত থেকে জেসিবি, এক্সকেভেটর লাগিয়ে জবরদখলে থাকা নালা নর্দমাগুলির জমি দখলমুক্ত করেন। জবরদখল করে রাখা দোকানপাট- ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই জিনিসপত্র নিয়ে এদিক-ওদিকে ছুটে যান। হঠাৎ করে উচ্ছেদ অভিযানে ঘরবাড়ি- দোকানপাট গুড়িয়ে দেওয়ায় নিঃস্ব হয়ে পড়েন অনেকেই।
এই উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অসন্তোষ না থাকলেও পরীক্ষার মরশুম ও বৃষ্টি শুরু হওয়ার মুহূর্তে এই অভিযান চালানোই অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, উচ্ছেদ অভিযান চালানোর আগে জনগণকে আরও সময় দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান করা উচিত ছিল। অনেকের হাতেই জমির পাট্টা ও দলিল রয়েছে। সরকারি খাস জমিতে উচ্ছেদ চালাতে গিয়ে জমির পাট্টা থাকা কাগজপত্র না দেখেই উচ্ছেদ অভিযান চালানোয় অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই কাগজপত্র দেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, এলাকার নালা নর্দমাগুলি জবরদখল করে রাখায় সামান্য বৃষ্টিতেই গোটা এলাকা জমা জলের নিচে চলে যায়। প্রায় প্রতিটি অলি-গলিতে হাটু সমান উচ্চতায় বৃষ্টির জল জমে থাকে। দুর্বিষহভাবে জীবন যাপন করতে হয় এইসব এলাকার জনগণকে। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল কলেজে যেতেও প্রচণ্ড সমস্যার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন থেকে এই দুর্বিষহ জীবনযাপন থেকে রেহাই দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে বারবার দাবি জানান এলাকার জনগণ।
শুক্রবার অম্বিকাপট্টি এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর রবিবার কলেজ রোড এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এক্সকেভেটর, জেসিবি সহ অন্যান্য যন্ত্রপাতির সাহায্যে জবরদখল করে থাকা নালানর্দমা গুলি দখল মুক্ত করে সহজে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য সক্রিয় থাকতে দেখা যায় পুরসভার কর্মকর্তাদের। উচ্ছেদ অভিযানের পক্ষে মত ব্যক্ত করলেও জনগণকে নিজেদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিছুটা সময় দেওয়ার আর্জি জানান এলাকার অনেক বাসিন্দা।