Barak UpdatesHappeningsBreaking News
করোনা কেড়ে নিল সাংবাদিক অসীম দত্তকেও
৭ সেপ্টেম্বর: অনেক দিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন৷ কয়েকমাস নিয়মিত ডায়ালিসিস করাচ্ছিলেন৷ কিন্তু ভেঙে পড়েননি৷ শেষপর্যন্ত করোনার কাছে হার মানতে হল সাংবাদিক অসীম দত্তকে৷ সোমবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷
মূলত রুটিন ডায়ালিসিসের জন্যই মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলেন অসীমবাবু৷ নিয়ম অনুযায়ী, এর আগে কোভিড টেস্ট করাতে হয়৷ তখনই ধরা পড়ে, করোনা বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে৷
অসীমবাবুর সাংবাদিকতা খুব বেশিদিনের নয়৷ ২০০৭ সালে বিটিএনে যোগ দেন৷ এর পর প্রান্তজ্যোতির মালিকানা বিটিএন কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করলে তিনি পত্রিকায় চলে আসেন৷ কিন্তু খুব কম দিনেই তিনি এই অঞ্চলের সাংবাদিকতায় স্বকীয়তার ছাপ ফেলতে সক্ষম হন৷ বিভিন্ন বিষয়ে মূল্যবান মতামত প্রকাশ করতেন৷ হোক পত্রিকার পাতায় বা সাংবাদিক সম্মেলনে বা আলোচনা সভায়৷
অসীম দত্ত রেখে গিয়েছেন স্ত্রী, কলেজ পড়ুয়া কন্যা সহ অসংখ্য বন্ধুবান্ধব, ঘনিষ্ঠজনদের৷ শিলচরে তাঁর পাকাপাকি থাকাও খুব বেশিদিনের নয়৷ মূল বাড়ি তিনসুকিয়ায়৷ পড়াশোনা গুয়াহাটি কটন কলেজে৷ ছাত্রাবাসে থাকতেন তখন৷ বোটানির মেধাবী ছাত্র হলেও কর্মজীবনে নিজেকে ওষুধের ব্যবসায় জড়িয়ে দেন৷ প্রথমে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ, পরে বিভিন্ন নামী ওষুধের কোম্পানির নানা স্তরের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন৷ শেষে শিলচরে নিজে ফার্মেসি খুলেছিলেন৷ স্ত্রী শিলচরে শিক্ষকতা করেন, মেয়ে এখানেই পড়ে৷ এই সুবাদে ১৯৯৯ সালে এই শহরেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ লিংক রোডে ফ্ল্যাট নেন৷
তাঁর মৃত্যুতে শিলচরের সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷ তাঁদের আক্ষেপ, অসীম দত্তের স্ত্রী-কন্যাও পজিটিভ হয়ে বর্তমানে মেডিক্যালে রয়েছেন৷ ফলে শোকের সময়ে তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না৷ কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দরুন অসীমবাবুর অন্ত্যেষ্টিতেও শেষশ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ মিলছে না৷
তাঁর প্রয়াণে শোকগ্রস্ত শহরের বিশিষ্টজনেরা, বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা৷