Barak UpdatesHappeningsBreaking News
করিমগঞ্জের ফুটপাত থেকে ত্রিপুরার বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ মহিলা, সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া
ওয়েটুবরাক, ১২ জুলাই: গত মাসে বড় ছেলের বাড়ি যাবেন বলে বেরিয়েছিলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব লাবণী চাকমা৷ ত্রিপুরার পেচারতলেই বাড়ি নিজের এবং বড় ছেলের৷ দুই বাড়িতে তাঁর আসা-যাওয়া লেগেই থাকে৷
কিন্তু সে দিন আর ছেলের বাড়ি যাননি৷ এসে পড়েন করিমগঞ্জ শহরে৷ পেচারতল, পানিসাগরে এখন আর ট্রেন দাঁড়ায় না৷ যাত্রীবাহী গাড়ির চলাচলও বন্ধপ্রায়৷ জরুরি প্রয়োজনে সীমান্ত পেরোতে হলে প্রশাসনিক অনুমতি প্রয়োজন৷ এই অবস্থায় লাবণী কী করে চলে এলেন পাশের রাজ্যে, বিস্মিত সবাই৷
লাবণীও পরিস্কার করে কিছু বলতে পারছেন না৷ কিন্তু তিনি যে পথ ভুলে এখানে এসে পড়েছেন, বুঝতে বাকি থাকেনি পোয়ামারার বাপন আহমেদের৷ তিনি লাবণীর ভিডিও করে পাঠান রবিনহুড আর্মি নামে এনজিও-র প্রধান সুজন দেবরায়ের কাছে৷ এমন মানুষদের বাড়ি খুঁজে বের করে পাঠানোর কাজ করে চলেছেন সুজনবাবুরা৷ ভিডিও পেয়েই তিনি তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন৷ পেচারতলে বাড়ি বলতে পারায় লাবণীর ভিডিও বেশি করে ওই এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়৷ তাতেই কাজ হয়৷ নজরে পড়ে পেচারতল থানার এক পুলিশের৷ তিনি খতিয়ে দেখেন, তাঁর নামে একটি মিসিং রিপোর্ট রয়েছে৷
থানা থেকে যোগাযোগ করা হয় এজাহারকারীর সঙ্গে৷ কিন্তু তাঁরা এতই দুস্থ যে, গাড়ি নিয়ে করিমগঞ্জে গিয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে আসবে, সে ক্ষমতা নেই৷ শেষে পুলিশ রবিনহুড আর্মিকে অনুরোধ জানায় তাকে চুরাইবাড়ি এনে পৌঁছাতে৷ সেখান থেকে তারা গিয়ে নিয়ে আসবেন এবং বাড়ি পৌঁছে দেবেন৷ তাদের প্রস্তাবে সায় দেন সুজন৷ পৌঁছে দেন চুরাইবাড়িতে৷ পেচারতল থানার ওসি জাহাঙ্গির হোসেন সেখান থেকে লাবণী চাকমাকে নিজের গাড়িতে তুলে এনে আইনি প্রক্রিয়া সেরে বাড়ি পৌঁছে দেন৷
সুজনবাবু জানান, সোশ্যাল মিডিয়া বিরাট সহায়ক হয়েছে৷ তবে এর পরও বেশ ঝামেলার মুখোমুখি হতে হয়৷ প্রথমত, লাবণীদেবী এক জায়গায় থাকতেন না৷ পোয়ামারা থেকে কখনও লাতু, কখনও শহরের সেটেলমেন্ট রোডে ঘুরে বেড়াতেন৷ কখন, কোথায় রয়েছেন বোঝা মুশকিল ছিল৷ দ্বিতীয়ত, করিমগঞ্জ থেকে চুরাইবাড়িতে নিয়ে যাবেন কীভাবে? আবার দ্বারস্থ হয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার৷ তখন এগিয়ে আসেন লায়ন্স ক্লাব ফ্রন্টলাইনের সভাপতি গৌতম দে৷ তাঁর গাড়িতেই লাবণীদেবীকে নিয়ে যান চুরাইবাড়িতে৷