NE UpdatesAnalyticsBreaking News
কনের বাড়িতে বরপক্ষের আমন্ত্রিতদের মতো খাবার কোয়ারেন্টাইনে দেওয়া সম্ভব নয় : হিমন্ত
৫ জুন : কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে কী খাওয়ানো হয়েছে, তা থেকে ঘরে মা-বাবার সুরক্ষা অনেক বেশি জরুরি। বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এ মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। প্রয়োজনে তিনি নিজে গিয়ে আবাসিকদের এ বিষয়ে আশ্বস্ত করবেন বলে জানান।
লখিমপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে যারা রাজ্যে ফিরে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে একাংশ খাদ্য নিয়ে কেন এতটা হুল্লোড় সৃষ্টি করেছেন, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। কারণ লকডাউনের সময় আটকে পড়া অনেকে ফোন করে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ‘আমরা ৬-৭ দিন ধরে খেতে পাইনি। জল-বিস্কুট খেয়ে থাকতে হয়েছে। কিন্তু এখানে আসার পর তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে যখন রাখা হয়েছে, তখন সরকার ২-৩ বেলা কিছু অন্তত খাবার দিয়ে যাচ্ছে। তাসত্ত্বেও এই ঘরফেরা মানুষ কী করে বদলে গেলেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না।’ কিছুটা মজা করেই হিমন্ত বলেন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসামে ফেরা এই একাংশ মানুষ যদি ভেবে থাকেন যে, বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিত হিসেবে তাঁরা এসেছেন, বরপক্ষের লোকেরা এসেছেন কনের বাড়িতে, ফলে সমাদরও সেরকম হবে, তাহলে তা করা সম্ভব হচ্ছে না।
মন্ত্রী বলেন, এটি পুরোপুরি চিকিৎসার ইস্যু, হঠাত করে খাওয়ার বিষয় কী করে এসে গেল? আসামে ফিরে আসা এই ব্যক্তিদের মা-বাবাকেও তো বাঁচাতে হবে। কারণ বাইরের রাজ্য থেকে আসা কোনও ব্যক্তি যদি সরকারের নির্দেশ না মেনে ঘরে যান, তাহলে সবার আগে তাঁর মা-বাবাই সংক্রমিত হবেন। তাহলে যে সরকার ঘরে থাকা মা-বাবাকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করছে, তার প্রতি তো কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। তিনি আরও বলেন, কোয়ারেন্টাইনে না কাটিয়ে ঘরে চলে গেলে এলাকার মানুষ জানলে তাঁদের সংস্পর্শেই আসবেন না। কিন্তু মা-বাবা সন্তান স্নেহে আসবেন ও ভাইরাসে সংক্রমিত হবেন। ফলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে খাবার নিয়ে যারা হল্লোড় করছেন, তাঁরা মোটেই ভাল করছেন না বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।