Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কটামণিতে উচ্ছেদ, শিলচরে প্রতিবাদ
ওয়েটুবরাক, ২০ জুলাই : ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনির আহ্বানে মঙ্গলবার শিলচর শহরের রাঙ্গিরখাড়ি ভাষা শহিদ বেদীর পাদদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগঠনের সদস্যরা জমায়েত হয়ে করিমগঞ্জ জেলার কটামণির অমানবিক উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি, ডলু চা বাগান বাঁচাও সমন্বয় সমিতি, ফ্রেন্ডস অফ ডলু, অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও এআইইউটিইউসি-র প্রতিনিধিরা।
ফোরামের পক্ষে অরিন্দম দেব সভার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে কটামনিতে বুলডোজার চালিয়ে উচ্ছেদের বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, সরকারের দায়িত্ব ছিল খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর সুরক্ষা দেওয়া৷ কিন্তু এরা পুঁজিপতিদের মুনাফার জন্য জমি তুলে দিতে জনগণের বাসস্থানের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার কাজে নেমেছে। তিনি গরুখুঁটির উচ্ছেদ সহ বুলডোজার চালিয়ে ডলু চা-বাগান ধ্বংসের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন।
কটামনির ইছাবিল চা বাগানের সিলিং উদ্বৃত্ত জমিতে কয়েক পুরুষ ধরে বসবাস করছেন সেখানকার জনগণ। সরকারের দেওয়া বৈধ বন্দোবস্তের কাগজপত্রও রয়েছে তাদের কাছে। সরকার ইছাবিল সহ আসাম জুড়ে মোট ১৫টি সরকারি বাগান পুঁজিপতিদের হাতে বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই বিক্রির শর্তেই কটামনিতে এমন অমানবিক উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। রুজি, রুটি, বাসস্থানের সংকটে মানুষ যখন নাজেহাল, তখন সরকারের এই কর্পোরেট বান্ধব নীতির জেরেই গরিব জনগণের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে। এমনটাই মত এআইইউটিইউসি-র সুব্রত নাথের।
ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনির পক্ষে অরূপ বৈশ্য বলেন, সরকার বলছে উন্নয়নের স্বার্থেই অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে, অথচ এই উন্নয়ন কাদের জন্য? আমরা গোটা আসাম জুড়েই দেখছি যে গুরুত্বপূর্ণ জমিগুলো থেকে জনগণকে উচ্ছেদ করে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ডলুর মতো লাভজনক চা বাগানের জমিও শ্রমিকদের রুজিরুটি বিপন্ন করে, ৩০ লক্ষ চা গাছ কেটে অধিগ্রহণ করা হয়েছে৷ উদ্দেশ্য একটাই, কোনও কর্পোরেট পুঁজিপতিদের মুনাফার জন্য এই জমিগুলো তুলে দেওয়া হবে। অর্থাৎ এই সরকার কর্পোরেটদের অঙ্গুলিহেলনে জনগণের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনছে।কটামনির উচ্ছেদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের ডাক দেন বক্তারা৷