Barak UpdatesHappeningsBusinessBreaking News
ওষুধের পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ী মিলে নতুন সংগঠন গড়লেন কাছাড়ে
১৩ ডিসেম্বর: কাছাড় জেলায় পাইকারি ও খুচরো ওষুধ ব্যবসায়ীরা মিলে নতুন সংগঠন গড়লেন৷ নাম দিয়েছেন অল কাছাড় মেডিসিন রিটেল অ্যান্ড হোলসেলারস অ্যাসোসিয়েশন৷ দুই মাস আগে আত্মপ্রকাশ ঘটে এর৷ পরে বহু সদস্য এসে তাঁদের সদস্যপদ নেন৷ তাই রবিবার সবাইকে নিয়ে এক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়৷ কমিটিও পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করে৷ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন ক্রমে অনুপ চৌধুরী ও মনতোষ পাল৷ সহ সম্পাদক মিঠুন রায়৷ কোষাধ্যক্ষ অজিতকুমার দেব৷ উপসভাপতি তিনজন৷ তাঁরা হলেন সুবোধ ভৌমিক, দীপক সেনগুপ্ত ও সঞ্জয় চক্রবর্তী৷ অরিন্দম ভট্টাচার্য হলেন সাংগঠনিক ভট্টাচার্য৷
সোমবার প্রদীপ জ্বালিয়ে সাধারণ সভার সূচনা করেন স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সঞ্চালক ডা. সুদীপজ্যোতি দাস৷ উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক স্বর্ণালী চৌধুরী৷
এতদিন এই অঞ্চলে তাঁদের মূলত দুটিই সংগঠন ছিল৷ সাউথ আসাম ড্রাগ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন বা সাড্ডা এবং কাছাড় কেমিষ্ট অ্যান্ড ড্রাগ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন৷
দুটো অ্যাসোসিয়েশন থাকার পর তৃতীয় সংগঠন কেন, এর ব্যাখ্যায় যুগ্ম সম্পাদক মিঠুন রায় বলেন, ৫ বছর ধরে সংগঠন দুটির কোনও কাজকর্ম নেই৷ সদস্যদের সঙ্গে চাঁদা সংগ্রহের বাইরে আর সম্পর্ক রাখেন না তাঁরা৷ বিষয়টি মাত্রাছাড়া হয় লকডাউনের সময়৷ একদিকে সরকারি নির্দেশ, ফার্মেসি খোলা রাখতে হবে৷ অন্যদিকে কাউকে রাস্তায় বেরোতে দিচ্ছে না পুলিশ৷ অনেকে পুলিশ, সিআরপির লাঠির ঘা খেয়েছেন৷ কিন্তু সংগঠন দুটিকে বারবার বলেও সাড়া মেলেনি৷ পরে নিজেরাই সভা ডেকে তৃতীয় সংগঠনের জন্ম দেন৷
নতুন সংস্থা যেমন সদস্যদের সমস্যা নিয়ে সজাগ থাকবে, তেমনি তাঁরা সামাজিক কাজকর্মও করবেন বলে অঙ্গীকার করেন৷ করোনা প্রতিষেধক চলে এলে একে নিয়ে যেন এখানে কালোবাজারি না হয়, সে ব্যাপারে তাঁরা সতর্ক থাকবেন বলে আগাম জানিয়ে রাখেন৷ যুগ্ম সঞ্চালককেও জানিয়ে দেন, এ নিয়ে যে কোনও ধরনের সহায়তার জন্য তাঁরা প্রস্তুত৷