NE UpdatesHappeningsBreaking News

এবার আর উৎসবের আমেজ নেই জিরিবামে

ওয়েটুবরাক, ৭ অক্টোবর : নাগাড়ে অশান্তির দরুন মণিপুরের জিরিবামে এ বার আর উৎসবের মেজাজ নেই৷
উত্তরপূর্বের রাজ্যটিতে বাঙালিদের বসবাস মূলত জিরিবাম জেলায়৷ তাই দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে ওঠেন সেখানকারই মানুষ৷
হিন্দু মণিপুরিরা দুর্গাপূজা না করলেও একই ধাঁচে তিনদিন ধরে ইমা পান্থৈবির আরাধনা করেন৷ গত বছর মণিপুরের অন্যত্র ইমা পান্থৈবি পূজা না হলেও জিরিবামে ছিল ব্যতিক্রমী দৃশ্য৷ শহরে যেমন দুই জায়গায় পান্থৈবীদেবীর পূজা হয়, তেমনি জাঁকজমক সহকারে হয় দুর্গাপূজাও৷ কারণ সে বার তখনও অসম সীমা সংলগ্ন এলাকায় হিংসা থাবা বসায়নি৷ কিন্তু মাস কয়েক ধরে জিরিবামও হিংসায় জর্জরিত৷ এরই জেরে ইমা পান্থৈবি পূজা আয়োজকরা যেমন পূজার্চনা থেকে বিরত রয়েছেন, তেমনি বাঙালির দুর্গাপূজাও অর্ধেকে নেমে এসেছে৷ যাঁরা ধারাবাহিকতা ধরে রাখছেন, তাঁরাও কোনওমতে পূজা সারছেন৷
জিরিবামের সবচেয়ে বড় দুর্গাপূজা হয় কালীনগরে৷ মণ্ডপে যেমন থাকে আগের বছরকে ছাপিয়ে যাওয়ার প্রবণতা, মূর্তিতেও থাকে সুষমামণ্ডিত করে তোলার শৈল্পিক প্রয়াস৷ এই বছর কালীনগরে শুধুই পূজার্চনা৷ রাতিনখাল এলাকায় অন্য বছর অন্তত ২০টি পূজা হতো৷ সমসংখ্যক পূজার আয়োজন ছিল বেকরা, জখরাডহর, দুর্গাপুর প্রভৃতি অঞ্চলেও৷ বঙ্গভাষী প্রধান দুই এলাকাতেই অর্ধেক পূজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷
হিংসার প্রভাব পড়েছে জিরিবামের বাজারেও৷ দুর্গাপূজার আগে পনেরো দিন ধরে বেচাকেনা বেড়ে যেত৷ বিশেষ করে, জামা-কাপড় কেনার ধূম লাগত৷ সেই দৃশ্য এই বছর একেবারে উধাও৷
পুজোর বাজারের শেষ আশা ছিল সোমবারের হাট৷ কিন্তু আজও বাজারে ক্রেতাদের দেখা মেলেনি৷ মাথায় হাত অসমের কাছাড় জেলার ব্যবসায়ীদেরও৷ জিরিবামের প্রচুর মানুষ জামাকাপড়ের জন্য চলে আসতেন পাশের রাজ্যের জিরিঘাট, লক্ষীপুর, শিলচরের বাজারে৷ এ বার সব ভুলে জিরিবামের সকলের এক শঙ্কা, কখন শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই!

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker