Barak UpdatesHappeningsBreaking News
একাদশীতেও জমজমাট বিসর্জন শিলচরে
ওয়েটুবরাক, ৭ অক্টোবর : করোনাসুরের প্রকোপে দুই বছর সেই ভাবে মায়ের পুজো করা যায়নি। এ বছর সেই আক্ষেপ সুদে-আসলে পুষিয়ে নিলেন বরাকবাসী। চারশোর বেশি পুজো হয়েছে শুধু শিলচর শহর ও আশপাশে। শুধু তাই নয়, দশমীর রাতের মতো জমজমাট পরের দিনের বিসর্জনও, এই অভিনবত্বেরও সাক্ষী থাকলেন শিলচরের মানুষ। সদরঘাটে দুই দিনে ২৫৪টি প্রতিমা বিসর্জন হয়।
শান্তিতেই বিসর্জন পর্ব সম্পন্ন হয়। তার মধ্যেই অবশ্য দুই-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে। চেংকুড়ি রোড নবোদয় পূজা কমিটির সদস্য রাজকুমার রাজেশ সিনহা জানান, এই পুজোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন, এলাকারই এমন কিছু যুবক বিসর্জনের জন্য প্রতিমা নিয়ে বেরনোর সময় তাঁদের ওপর চড়াও হয়৷ পরে বিসর্জন সেরে ফেরার পথে এরা তার ওপর আক্রমণ করে৷ তিনি থানায় এজাহার দিয়েছেন৷
বিসর্জনে আরেক বিবাদ বাঁধে অম্বিকাপট্টি-হাসপাতাল রোড সংযোগস্থলে৷ রামগড় তপোবননগর পূজা কমিটির প্রতিমা সেখানে পৌঁছালে বিলপারের কিছু যুবকের সঙ্গে মারপিটের ঘটনা ঘটে৷ তাঁরা পুলিশে এজাহার দিয়ে বলে, অম্বিকাপট্টি-হাসপাতাল রোড সংযোগস্থলে পূজা কমিটির গাড়ি এমন বাঁক নেয় যে, সেখানে দাঁড় করিয়ে রাখা স্কুটি-বাইকের তো ক্ষতি হয়েছেই, দর্শনার্থীরাও চোট পেয়েছেন৷ এ নিয়ে কথা বলতে গেলে পুজো কমিটির যুবকরা তাঁদের বাঁশ, জলের বোতল ইত্যাদি দিয়ে মারধর করে৷ প্রাক্তন পুর কমিশনার রাজেশ দাসকেও তাঁরা অভিযুক্ত করেন৷ রাজেশ অবশ্য বলেন, মারপিটের কোনও ঘটনা ঘটেনি৷ উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছিল, তিনি থাকাতে তা বাড়তে পারেনি৷ সবাইকে নিয়ে সুন্দর ভাবে বিসর্জন পর্ব সেরেছেন৷