NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
উত্তর-পূর্বের হজ এম্বার্কেশন সেন্টার তুলে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক করলেন খোদ চেয়ারম্যান
জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতায় অসন্তোষ

ওয়েটুবরাক, ১৪ এপ্রিলঃ ভারতের তিন জায়গা থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়া যায়। কলকাতা, মুম্বই ও গুয়াহাটি। কয়েক বছর আগেও শুধু কলকাতা ও মুম্বইয়ে ছিল হজযাত্রার এম্বার্কেশন সেন্টার। সে সময় এই অঞ্চলের বেশির ভাগ মানুষ মুম্বইকে বেছে নিতেন, একাংশ যেতেন কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে। তাতে দীর্ঘযাত্রা শুরুর আগেই নানা ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হতো। ক্রমাগত দাবির প্রেক্ষিতে গুয়াহাটিতেও এম্বার্কেশন সেন্টার চালু হয়। কিন্তু এই সেন্টারটি তুলে নেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করলেন খোদ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান নেকিবুর জামান। তিনি খোলামেলাই বলেন, হজ ট্যুর অপারেটররা সে জন্য কলকাঠি নাড়ছে। কারণ আগে মুম্বই বা কলকাতা যেতে হতো বলে এই অঞ্চলের হজযাত্রীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ মিলত। কয়েক বছর ধরে সে অর্থ আর তাদের মিলছে না। এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে উত্তর-পূর্বের জনগণকে সতর্ক থাকতে বলেন।
তবে প্রবীণ আইনজীবী নেকিবুর জামানের আক্ষেপ, মুসলমান জনপ্রতিনিধিদের সে সব ব্যাপারে একেবারেই মাথাব্যথা নেই। উদাহরণ টেনে কাছাড় জেলার তিন মুসলমান বিধায়কের উদাসীনতায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মিসবাহুল ইসলাম লস্কর, খলিল উদ্দিন মজুমদার ও করিমউদ্দিন বড়ভুইয়া জেলা হজ কমিটির সদস্য। কিন্তু তাঁরা হজ কমিটির কোনও সভায় উপস্থিত হন না, কোনও ধরনের কর্মসূচিতে যোগ দেন না। অথচ জনপ্রতিনিধিরা এ সব ব্যাপারে সক্রিয় থাকলে উপযুক্ত স্থানে সমস্যাসমূহ তুলে ধরতে পারতেন তাঁরা। বিশেষ করে, কেন্দ্রীয় হজ কমিটিতে উত্তর-পূর্বের একজন প্রতিনিধি থাকা খুব প্রয়োজন। এই ইস্যুতে সাংসদ-বিধায়কদেরই সরব হওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া, বরাক উপত্যকার জন্য পৃথক এম্বার্কেশন সেন্টারও সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পরিস্ংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, এই বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় উত্তর-পূর্ব থেকে হজে যাচ্ছেন ২৫৪৭ জন। ১৮১৭ জন পুরুষ ও ৭৩০ জন মহিলা। তাঁদের মধ্যে শুধু বরাক উপত্যকা থেকেই রয়েছেন ১১১৮ জন। কাছাড়ের ৩৯৭, শ্রীভূমির ৪৩৯ ও হাইলাকান্দির ২৮২ জন। তাঁরা সবাই গুয়াহাটি এম্বার্কেশন সেন্টার থেকে রওয়ানা হবেন। আগামী ৩ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত ওই এম্বার্কেশন সেন্টার চালু থাকবে বলে নেকিবুর জামান জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, কাছাড় জেলার হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ উপলক্ষে শিলচরে এসেছেন চেয়ারম্যান জামান। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। সে সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী তথা মহিলা হজযাত্রীদের প্রশিক্ষক সাজিদা জামান, বিধানসভার প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর, কাছাড় জেলা হজ কমিটির যুগ্ম সচিব তৈমুর রাজা চৌধুরী, হাইলাকান্দি জেলার যুগ্ম সচিব আবুল হাসান মাঝারভুইয়া, আব্দুল নূর চৌধুরী, আলিম উদ্দিন, মিলনউদ্দিন লস্কর প্রমুখ।