Barak UpdatesHappeningsBreaking News
আসাম বিশ্ববিদ্যালয় ৬১-র ভাষা আন্দোলনের ফসল : বরাক বঙ্গ

ওয়েটুবরাক, ১২ এপ্রিল: কাছাড় সহ তৎকালীন সুরমা উপত্যকার জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ঔপনিবেশিক শাসনকালে উঠেছিল ১৯২৪ সালে আসাম আইন পরিষদে জননেতা ব্রজেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীর একটি বক্তব্যের মাধ্যমে। এরপর আবার ১৯৪৬ সালে শিলঙে এক জনসভায় আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের এক বক্তব্যে দক্ষিণ অসমের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা (‘to cater to the needs of the Bengalees of the region’ ) ব্যক্ত হয়।
শনিবার বঙ্গভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কাছাড় জেলা সমিতির সভাপতি সঞ্জীব দেব লস্কর। তিনি বলেন, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কোন অর্বাচীন দাবি নয়, এর পেছনে সুস্পষ্ট ভাবে একটি পুরো শতাব্দীর চিন্তাচর্চার ইতিহাস রয়েছে। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে আসাম মন্ত্রিসভা কাছাড়ের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের হঠকারি সিদ্ধান্ত নেয়, আবার তাৎক্ষণিক ভাবে সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহারও করে নেয়।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ছেলেখেলার সেই ট্রাডিশন এ রাজ্যে আজও চলছে বলে মন্তব্য করে জেলা সভাপতি ”আসল কথা” শোনান । তিনি বলেন, দুই দশকের ছাত্র আন্দোলন এবং শিক্ষাসংরক্ষণ সমিতির নিরন্তর আবেদন নিবেদন, আলোচনা এবং কেন্দ্র সরকারের কাছে বরাকের ( সঙ্গে বড়ো অঞ্চল, ডিমাহাসাও এর) গণদাবির ফলে শিলচরে প্রস্তাবিত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যাবার পরও বিষয়টি আটকে গিয়েছিল। কারণ আসাম আন্দোলনের হোতারা বায়না ধরলেন ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায়ও অনুরূপ আরেকটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় দিতে হবে। এ দাবি পুরণ না করলে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা অনন্তকালের জন্য স্থগিতই থাকত।
এই প্রেক্ষাপটে বরাকে প্রতিষ্ঠিত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আসাম আন্দোলনের ফলশ্রুতি বলাটা কী করে ইতিহাস সম্মত হয়, প্রশ্ন তোলেন তিনি। বরাক বঙ্গের দাবি, এ বিশ্ববিদ্যালয় সুস্পষ্ট ভাবেই একষট্টির ভাষা আন্দোলনের ফসল। বলা যায় উনিশে মে’তে আত্মাহূতি দেওয়া একাদশ শহিদেরই সন্তান আসাম বিশ্ববিদ্যালয়।