Where and When?HappeningsBreaking News

আসামে প্রেম দিবসে প্রেমিকাকে খুন করে গ্রেফতার সেনা অফিসার

ওয়েটুবরাক, ২৬ ফেব্রুয়ারি: এক মহিলাকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হলেন সেনাবাহিনীর ৪ কোরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল অমরিন্দর সিংহ ওয়ালিয়া।
১৫ ফেব্রুয়ারি কামরূপের চাংসারি এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশেই এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।  তাঁর গলায় থাকা লকেট থেকে মহিলার পরিচয় উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তকারী এক পুলিশকর্তা জানান, ইন্টারনেট সার্চ করে জানা যায়, লকেটটি কোয়েম্বাটুরের মা লিঙ্গ ভৈরবী মন্দিরের। মন্দিরে ওই মহিলার ছবি পাঠিয়ে যোগাযোগ করে জানা যায়, তিনি বন্দনা৷ বাড়ি চেন্নাইয়ে৷ তাঁর পুরো ঠিকানাই জানা যায়। বন্দনার বাবা জানান, মেয়ে বারাণসীতে গিয়েছে। পুলিশ বন্দনার মোবাইল টাওয়ার অনুসরণ করে জানতে পারে, বারাণসীতে তিন দিন থেকে বন্দনা দিল্লি যান। সেখান থেকে আসেন অসমে। মোবাইল টাওয়ার থেকেই জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর শিশুকন্যাকে নিয়ে গুয়াহাটি এসেছিলেন বন্দনা। পুলিশ রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রী তালিকায় বন্দনার নাম পায়। সঙ্গে ছিলেন ওয়ালিয়া। বন্দনা ও ওয়ালিয়ার মোবাইল টাওয়ার থেকেই সব প্রমাণ হয়েছে। সম্ভবত ১৪ তারিখ রাত দেড়টার পরে বন্দনাকে হত্যা করা হয়।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ালিয়া চেন্নাই আর্মার্ড কোরের অফিসার হিসেবে চেন্নাই ট্যাঙ্ক ডিপোতে যেতেন। সেখানেই ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ। দু’জনের মধ্যে অন্তত ৭-৮ বছরের সম্পর্ক ছিল। শোনা যাচ্ছে, ওই মহিলাকে বিয়েও করেছিলেন ওয়ালিয়া। পুলিশ তাঁদের বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি পেয়েছে।

১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৫ বছর বয়সী বন্দনার দেহ উদ্ধার হলেও সঙ্গে থাকা শিশুর খোঁজ মেলেনি তখন।


অমরিন্দর পুলিশকে জানিয়েছেন, বন্দনা তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন। তাই রাগের মাথায় তাঁকে খুন করেন তিনি। ঘটনার সময় বাচ্চাটি পিছনের আসনে ঘুমিয়েছিল। বাচ্চাটিকে তেজপুরে নিয়ে আসেন তিনি। ২১ তারিখে অমরিন্দর বাচ্চাটিকে ট্রেনে কলকাতা নিয়ে গিয়ে হাওড়া স্টেশনে ছেড়ে চলে আসেন। হাওড়ার রেলপুলিশ মেয়েটির আধার কার্ডের নম্বর ধরে বন্দনার বাবাকে খবর দেয়। অসম থেকে মহিলা অফিসারও হাওড়া যান। বাচ্চাটিকে এখন গুয়াহাটিতে নিয়ে আসা হয়েছে। বন্দনার বাবাও গুয়াহাটি পৌঁছেছেন।
সেনা মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহেন্দ্র রাওয়াত জানান, বিষয়টি ওই অফিসারের ব্যক্তিগত। তদন্তভার অসম পুলিশের হাতে। তাই সেনার এ বিষয়ে এখনও কোনও বক্তব্য নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker