Barak UpdatesHappeningsSportsBreaking News
আইজলের সঙ্গে ড্র, গুপ্ত ট্রফির ফাইনালে মহামেডান
//দ্বিজেন্দ্রলাল দাস//
শিলচর, ৯ নভেম্বর : ফাইনালের খেলা নিশ্চিত করার জন্য মহামেডান স্পোর্টিঙের দরকার ছিল একটি ড্র। অন্যদিকে, আইজল এফসি-র প্রয়োজন ছিল একটি বড় ব্যবধানের জয়। দুটি অভিন্ন লক্ষ্য রেখে আজ পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতার মহামেডান স্পোর্টিং ও আইজল এফসি। প্রায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর খেলা শেষ হয় ২-২ ফলে। খেতাবের জন্য সোমবার সন্ধ্যায় মহামেডান খেলবে মণিপুরের রায়েংদাইয়ের সঙ্গে।
ক্যাপ্টেন এন এম গুপ্ত ট্রফিকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হচ্ছে বেশ ভালোই। আজ দর্শকদের উপস্থিতি ছিল বেশ লক্ষ্য করার মতো। আইজলের দর্শক যেমন ছিল, তেমনি ছিল মহামেডান স্পোর্টিঙের দর্শকও। ফুটবল প্যাভিলিয়নের পাশের একটি ব্লকে ব্যানারে লাগিয়ে বসেন মহামেডান স্পোর্টিঙের দর্শকেরা। খেলার শেষে পোড়ানো হয় আতসবাজিও। দর্শকদের এই উচ্ছ্বাসে কিছুটা আপ্লুত আয়োজকেরাও।
খেলার শুরু থেকে বিপক্ষকে চাপে রাখার প্রয়াস চালায় মহামেডান। খেলার পাঁচ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন দলের নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার এস টপের মেইতেই। আগের ম্যাচেও দুরন্ত পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। করেছিলেন দুটি গোলও। এক গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ানোর অফুরান প্রয়াস চলে মহামেডানের। বিপরীতে আইজল এফসি তখন আহত চিতা। এক গোল হজম করে গোল পরিশোধের জোরদার প্রয়াস চলতে থাকে তাদের। লালমাওমাবাওথিক একুশ মিনিটে ফল বরাবর করেন। ১-১ ফলে এগোতে থাকে ম্যাচ। খেলায় ফেরার পর আবার ঝিমিয়ে পড়েন আইজলের খেলোয়াড়রা। একে অপরের শিবিরের আক্রমণ চালালেও গোল আর করা সম্ভব হয়নি কারোর। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ ফলে।
বিরতির পর আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকে মহামেডান। তখন আইজল বেশ চাপে ছিল। মহামেডানের লেফট উইঙ্গার এডিসন সিং বল পেয়ে দ্রুত চলে যান বক্সে। তাঁকে বাঁধা দেবার চেষ্টা করেন আইজলের ডিফেন্ডার। কিন্তু আটকাতে পারেননি। গোল লক্ষ্য করে তাঁর নেওয়া শট কিছুটা এগিয়ে বাঁচালেন আইজলের গোলরক্ষক গ্যাবিয়েল। গোল থেকে রক্ষে করলেও বল নিজের গ্রিপে রাখতে পারেননি তিনি। বল পেলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সানি। ঠান্ডা মাথায় বল রাখেন জালে। আবার এগিয়ে যায় মহামেডান। এই সময়ে বেশ কয়েকটি সুন্দর আক্রমণ করে মহামেডান। আইজলের গোলকিপার গ্যাবিয়েলকে ক্রমাগত চাপের মধ্যে রাখে তারা। ৬৯ মিনিট মহামেডানের সানি গোলের সুন্দর সুযোগ তৈরি করেছিলেন। বল ক্লিয়ার করতে এগিয়ে গিয়েছিলেন গোলকিপার। সানির জোরালো শট চলে যায় বারের উপর দিয়ে। আবার ৬৮ মিনিটে আইজল এফসি-র আলফ্রেডের শট গোললাইন থেকে বাঁচালেন সাদা-কালো ব্রিগেডের এক ডিফেন্ডার। ৭৮ মিনিটে আইজলের সেন্টার মিডফিল্ডার লালরিনলুয়ার লং শট ফিস্ট করেন মহামেডানের গোলকিপার। কিন্তু বল আর নিজের মধ্যে রাখতে পারেননি। সেন্টার ফিস্ট করেন গোলকিপার। বল পান এলিসা লালচামলিয়ানা। বল জালে রাখতে ভুল করেননি তিনি। ফল আবার হয় বরাবর। এরপর দুই দলের খেলোয়াড়রা গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু গোল আর হয়নি। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে আক্রমণে জোর দেয় মহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেই প্রয়াস আর ফলপ্রসূ হয়নি। ম্যাচ শেষ হয় ২-২ ফলেই।
আজ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেলেন লালরিন লুয়া। তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন বিমলেন্দু রায়, প্রণয়কুমার বনিক এবং সুধাংশুকুমার দাস। আগামীকাল ম্যাচ নেই। ফাইনাল সোমবার।