Barak UpdatesHappeningsBreaking News

অম্বিকাপট্টিতে এ বার সুরমিতাজ-এর স্থায়ী শোরুম

ওয়েটুবরাক, ২১ সেপ্টেম্বরঃ কোভিডের সময় যাত্রা শুরু করে ‘সুরমিতাজ’। তখন ছিল শুধুই অনলাইন সেবা। অর্ডার নেওয়া, আর অর্ডার মতো পোশাক নির্দিষ্ট ঠিকানায় কুরিয়ার করে দেওয়া। পরীক্ষামূলক হলেও সাফল্য মেলে অভাবনীয়। কোভিড শেষে একেই ব্যবসায়ের চেহারা দিলেন সুরমিতা পোদ্দার। প্রথম বছরে শুধুই রামনগরে শো-রুম খুললেন। দ্বিতীয় বছর ওই শো-রুমের পাশাপাশি পূজার আগে অম্বিকাপট্টিতে কয়েকদিনের জন্য প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা করলেন। সে বারও সফল। তাই এ বার অম্বিকাপট্টিতেই খোলা হল স্থায়ী শো-রুম ‘সুরমিতাজ’। রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজ ও অধরচাঁদ স্কুলের মাঝে, বুধবার গণেশচতুর্থীর দিনে এর উদ্বোধন হয়।

সুরমিতা পোদ্দার বললেন, শাড়ি-ব্লাউজ, সালোয়ার-কামিজ কিনে আনা হোক বা তৈরি করানোই হোক, মূলত ভারতীয় পোশাক ও ডিজাইনেই তিনি গুরুত্ব দেন। নানা জায়গার ডিজাইনকে এক জায়গার আনার চেষ্টা করছেন। নিজেরাও করছেন নানা ধরনের ডিজাইন৷

তাঁর কথায়, সুরমিতাজের বিশেষত্ব হচ্ছে, ডিজাইন পছন্দ হলে রঙ না মিললেও হতাশ হতে হবে না। পছন্দমতো রঙের পোশাক এনে দেবেন তাঁরা। দ্বিতীয়ত, শো-রুমেই রয়েছে টেইলারিং ইউনিট। ছোট-বড় করানো বা কোনও কিছু কিনে এদিক-সেদিক করাতে হলে সুরমিতাজেই সেই সুবিধা মিলবে।

এর আগে ‘সুরমিতাজ’ ছিল মহিলাদেরই বস্ত্রসম্ভার। এ বার পুরুষদের জন্যও পোশাক আনা হয়েছে। ঝকঝকে শো-রুম বলেই দাম খুব বেশি, এমনটা যে নয়, তিনি শুরুতেই জানিয়ে দেন। সুরমিতা বলেন, এক হাজার টাকাতেও শাড়ি মিলবে তাঁর শোরুমে। ভালো ভালো পাঞ্জাবী ৫০০-৫৫০ টাকায়। সঙ্গে রয়েছে ব্যাগ, জুয়েলারি।

তিনি পূজার কেনাকাটার জন্য বাইরে যাওয়ার আগে একবার ‘সুরমিতাজ’ ঘুরে যেতে অনুরোধ করেন। এখানকার বাজারে কেনার সিদ্ধান্ত নিলেও একবার  ‘সুরমিতাজ’ দেখে যেতে আর্জি জানান তিনি৷ শুধু পূজার বাজার কেন, বিয়েরও যাবতীয় কাপড়চোপড় তাঁর শো-রুমে মিলবে বলে সুরমিতা আশ্বস্ত করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker