Barak UpdatesBreaking News
৮ অক্টোবর থেকে কাছাড়ে গুণোৎসব, প্রশিক্ষণ নিলেন ডিসি-এসপিDC, SP & other officials took training for Gunotsov
২৬ সেপ্টেম্বর : রাজ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের গুণোৎসবের জন্য এক্সটার্নেল এভালুয়েটরদের প্রশিক্ষণ ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শিলচরে শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুটি পর্যায়ের প্রশিক্ষণের প্রথম পর্বটি হয়েছে কাছারের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের কার্যালয়ে। এ দিন কাছাড়ের জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ, জলসম্পদ, গ্রামোন্নয়ন, ভূমি সংরক্ষণ ইত্যাদি কয়েকটি বিভাগের আধিকারিকরা গুয়াহাটি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা দু’জন মাস্টার ট্রেনারের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
মঙ্গলবার এই প্রশিক্ষণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন পর্বে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক ডাঃ এস লক্ষণন, পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন, শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলাশাসক রণধীর দাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক সুমিত্রা দেব সহ বিভিন্ন বিভাগের বেশ কয়েকজন আধিকারিক। দু’জন মাস্টার ট্রেনার ছিলেন রাধামাধব কলেজের সহকারী অধ্যাপক সুদর্শন গুপ্ত এবং উধারবন্দ ডায়েটের শিক্ষক জীবেন্দু দত্ত। এক্সটার্নাল এভালুয়েটরদের তিন দিনের এই প্রশিক্ষণপর্বে প্রতিদিন হচ্ছে দুটি করে সেশন। প্রথমটি সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর ১টা এবং দ্বিতীয়টি দুটো থেকে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত।
উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলাশাসক ডাঃ এস লক্ষণন বলেছেন, এক্সটার্নাল এভালুয়েটররা স্কুল পরিদর্শনের পর যে রিপোর্ট পেশ করবেন, তা শিক্ষার মান উন্নয়নে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য প্রত্যেকের যথাযথভাবে এই দায়িত্ব পালন করা উচিত।এক্সটার্নাল এভালুয়েটরদের উদ্দেশ্য শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের লেখা একটি চিঠি পাঠ করে শোনান জেলাশাসক। শিক্ষামন্ত্রী ওই চিঠিতে প্রত্যেককে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অনুরোধ যেমন করেছেন, তেমনি বাজেটে স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন বলেছেন, তিনিও ছোটবেলা সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। ফলে সরকারি স্কুলগুলোর শৈক্ষিক ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য গুণোতসব যে কতটা প্রয়োজন, তা তিনি উপলব্ধি করছেন। এ দিন অনুষ্ঠান পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার পঞ্চতপা চৌধুরী, কৃপানু রায়, বিদ্যুৎ দেবচৌধুরী, রানারঞ্জন নাথ, পাপড়ি ভট্টাচার্য প্রমুখ।
প্রথম বর্ষের গুণোতসবে রাজ্যের স্কুলগুলিতে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে, সে প্রশ্ন জিইেয়ে রেখে এখন দ্বিতীয় বর্ষের প্রস্তুতি চলছে। এ বারের গুণোতসব হবে হাইস্কুল পর্যায়ে। কাছাড়ে ২ হাজার ৩২২টি স্কুলে এই কার্যসূচি পালিত হবে। সে জন্য ৮১৬ জন এক্সটারনাল ইভেল্যুয়েটরকে নিযুক্তি দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ করা হয়েছে ১৮০ জন লিয়াসঁ অফিসারকেও। মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় এইসব তথ্য জানান জেলাশাসক এস লক্ষ্মণন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সুমিত্রা দেব, নোডাল অফিসার বিদ্যুত দেবচৌধুরী প্রমুখ। সুমিত্রাদেবী বলেন, ৮ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই গুণোতসব। প্রথমদিনে সব স্কুলে একযোগে সেলফ অ্যাসেসমেন্ট হবে। পরে ৯, ১০ ও ১১ অক্টোবরের মধ্যে একদিন হবে এক্সটারনাল ইভ্যালুয়েটরের মাধ্যমে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ।
উল্লেখ্য, গত বছর রাজ্যের ৩৩টি জেলায় প্রথম রাউন্ডে তিনটি পর্যায়ে গুণোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাছাড় জেলা রাজ্যে চতুর্থ স্থান দখল করেছিল। এই গুনোৎসবের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং ছাত্র অনুপাতে শিক্ষক নিয়োগ করার কথা ছিল। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে সবের কিছুই হয়নি। দায় এড়াতে শিক্ষা দফতর দ্বিতীয় বর্ষে পরিকাঠামোগত দিক সহ অশৈক্ষিক বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। এ বার লেখাপড়াটাই বেশি করে পর্যবেক্ষণ হবে।