Barak UpdatesHappeningsBreaking News
৩৭ বছর আগের অধরচাঁদের পরীক্ষার্থীরা পুরস্কৃত করল এ বারের ৭ মাধ্যমিক উত্তীর্ণকে
ওয়েটুবরাক, ১৭ জুনঃ শিলচরের অধরচাঁদ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে তাঁরা মাধ্যমিক দিয়েছিলেন। মোট আশি পরীক্ষার্থী। অনেকেই এখন নিজ নিজ পেশায় প্রতিষ্ঠিত। দেশের বিভিন্ন শহরে যেমন ছড়িয়ে রয়েছেন, তেমনি কয়েকজন আছেন বিদেশেও। প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছালেও তাঁরা ভুলতে পারেন না স্কুলজীবনের মধুর দিনগুলি। তাই স্কুলের ১৯৮৫ ব্যাচের পরীক্ষার্থীরা সামাজিক মাধ্যমের দৌলতে প্রায় সবাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের এক জায়গায় মিলিত হয়েছেন। সমবেত হওয়ার এই প্রয়াসেরই নাম দেওয়া হয়েছে “এফোর্ট”।
একে শুধু নিজেদের গালগল্প আর হাসিঠাট্টায় সীমিত না রেখে তাঁরা স্কুলের উন্নয়ন নিয়ে বিশেষ ভাবে ভাবতে চান। তাই গঠন করে নিয়েছেন কমিটিও। সভাপতি পান্নালাল গোস্বামী। সম্পাদক ঋষিকেশ চক্রবর্তী। এই কমিটিই শুক্রবার স্কুলে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সেরা সাতজনকে পুরস্কৃত করে। এ বার একই নম্বর পেয়ে স্কুলসেরা হয়েছেন দুইজন। সৃজন ঘোষ ও সোহন পাল। শংসাপত্রের সঙ্গে তাদের চার হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী স্থানাধিকারী জয়দীপ শর্মাকে দেওয়া হয়েছে দুই হাজার টাকা।
সম্পাদক ঋষিকেশ জানান, তাঁরা প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারীকে পাঁচ হাজার ও তিন হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু দুইজন একই নম্বর পাওয়ায় দুই পুরস্কারের টাকা সমান ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। পরেরটি দুই হাজার টাকা৷ কমিটি তিনটি পুরস্কারই মঞ্জুর করেছে। পরে আরেক প্রাক্তনী, ব্যাঙ্ক অফিসার কমলাক্ষ চক্রবর্তী আরও চারজনকে একহাজার টাকা করে প্রদানে উদ্যোগী হন। তাঁর এই প্রয়াসেই পুরস্কৃত হয় রাহুল দাস, তৌশিন ফারহান এবং একই নামে দুই শিবম রায়।
স্কুলের অধ্যক্ষা বর্ণালী ভট্টাচার্য ১৯৮৫-র প্রাক্তনীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন স্কুলের দুই প্রাক্তন ছাত্র এবং পরবর্তীতে এই স্কুলেই শিক্ষকতা করে বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত অপূর্বকুমার পালিত ও সজলকান্তি চৌধুরী এবং প্রাক্তন শিক্ষিকা শিপ্রা পুরকায়স্থ। ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন ১৯৮৫ কমিটি তথা এফোর্টের সহসভাপতি সুদীপ্ত নাথ।
এফোর্টের সদস্যদের মধ্যে এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেবাশিস চক্রবর্তী, জয়দীপ চৌধুরী, কল্যাণ চক্রবর্তী, মনোতোষ পাল, বিশ্বজিৎ সেন, মানবেন্দ্র নাথ, সুরজিৎ চক্রবর্তী প্রমুখ। সবাই স্কুলে বর্তমানে পাঠরতদের ভালো করে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেন। আগামী দিনে এফোর্ট যে নবম-দশম শ্রেণির ছাত্রদের জন্য বিশেষ কোচিংয়ের ব্যবস্থা করছে, তাও এ দিন তাঁরা ঘোষণা করেন। বলেন, স্কুলের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। সে জন্য ১৯৮৫-র ব্যাচকে যতটা করতে হয়, তাঁরা করবেন৷